Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে সয়েল টেস্টিং ল্যাব উদ্বোধন
বরাকের কৃষকদের জন্য খুলে গেল নতুন সম্ভাবনার দ্বার: জয়ন্ত
ওয়েটুবরাক, ১৩ জুলাই : আগামীতে কাছাড় তথা বরাকের কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত হতে চলেছে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার। কৃষি ক্ষেত্রে আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শনিবার শিলচরে সয়েল টেস্টিং ল্যাব-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এই মন্তব্য করেছেন জনস্বার্থ ও কারিগরি, পর্যটন সহ অন্যান্য বিভাগের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া।
তিনি বলেন, আগে মাটির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য বরাকের কৃষকদের বাইরে নমুনা পাঠাতে হতো। এতে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হতো। কিন্তু এখন শিলচরেই সয়েল টেস্টিং ল্যাবরেটরি হয়ে যাওয়ায় সে সমস্যা আর থাকবে না। কোন মাটিতে কতটা সার প্রয়োগ করতে হবে, কোন ধরনের সার প্রয়োগ করতে হবে তা জানতে পারবেন কৃষকেরা। শুধু এ-ই নয়, বরাকের মাটিতে নতুন কোনও ধরনের শাকসবজি বা কৃষিপণ্য উৎপাদন সম্ভব কি-না, জানা যাবে তা-ও। ফলে সে অনুযায়ী চাষ করতে পারবেন কৃষকেরা। এতে উৎপাদন এবং আয় — বাড়বে দু’টোই। পাশাপাশি রাসায়নিক সারের অপপ্রয়োগও কমবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে জৈবচাষ একটি জরুরি পদক্ষেপ। কিন্তু চাইলেও হুট করে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ বন্ধ করা যাবে না। বরং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে জৈবসারের প্রয়োগ বাড়ানো এবং রাসায়নিক সারের প্রয়োগ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য সর্বাগ্রে মাটির স্বাস্থ্য অর্থাৎ গুণগত মান সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। আর এটা জানতে গেলে সয়েল টেস্টিং ল্যাব-এর প্রয়োজন। তিনি বলেন, মাটি পরীক্ষার ফলই বলে দেবে কোন জমিতে কতটা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। মন্ত্রীর কথায়, মাটি পরীক্ষার ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এতে জনস্বাস্থ্য এবং কৃষকদের আয় — দু’টোই আরও নিরাপদ হবে। কৃষকেরা যতই বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষবাস করবেন ততই উন্নত হবে সমাজ।
এদিন শিলচর সদরঘাটে নবনির্মিত ‘সয়েল টেস্টিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অ্যান্ড ইনপুট টেস্টিং ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া। উপস্থিত ছিলেন তিন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, কৌশিক রায়, মিহির কান্তি সোম, জেলা কমিশনার রোহন কুমার ঝা, অতিরিক্ত জেলাশাসক যুবরাজ বরঠাকুর, বিজেপির জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, এজিপির জেলা সভাপতি কবির হোসেন ও জেলা সম্পাদক মণিতন সিংহ, আসাম কৃষক পরিষদের প্রদেশ সভাপতি পরেশ বৈশ্য, জেলা কৃষি আধিকারিক ড° এ আর আহমদ, রঞ্জিত সরকার, ড° রাহুল চক্রবর্তী, জয়নাল আবেদিন সহ কৃষি বিভেগের বিভিন্ন আধিকারিক ও অক্টোপাস কর্মীরা।