Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে এআইইউডিএফ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন সুস্মিতা দেব, ছিলেন বামেরাও
ওয়েটুবরাক, ১২ মার্চ: শুরু থেকেই এইইইউডিএফের সঙ্গে জোটের বিরোধী ছিলেন তিনি৷ কোথাও মুখ খুলেছেন, কোথাও চেপে গিয়েছেন৷ কিন্তু কাছাড় জেলার আসন বণ্টনের সময় ধৈর্যচ্যুতি ঘটে শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবের৷ বিশেষ করে, সোনাই আসন ছাড়তে গিয়ে তিনি দলত্যাগের হুমকি দিয়ে বসেন৷ কিন্তু অভিমান কাটিয়ে এখন তিনি ভোটের রণকৌশল নিরূপণে নেমে পড়েছেন৷ আজ শুক্রবার জেলা কংগ্রেস ভবনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্তর্গত বিভিন্ন শরিক দলের বৈঠক ডাকেন৷ সিপিএম, সিপিআই, সিপিএম (আইএল) এর সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয় এআইইউডিএফ-কেও৷ জেলা সভাপতি সামিনুল হক বড়ভূইয়া, ফয়জুল বড়ভূইয়া, একে আজাদ মজুমদার ও অরুণ কুমার দে বৈঠকে উপস্থিত হন৷ সিপিএমের পক্ষে দুলাল মিত্র, চূনীলাল ভট্টাচার্য, সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, সমীরণ আচার্য এবং সিপিআই(এমএল) এর পক্ষে হায়দর হুসেন চৌধুরী, অসীম নাথ উপস্থিত ছিলেন। আহ্বায়ক কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন সুস্মিতা দেব, জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ কুমার দে, পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী, সুজন দত্ত ও রাহুল আলম লস্কর৷
বিজেপির অপশাসনে দেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বেরোজগারি,জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ, পেট্রোজাত দ্রব্যসহ অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, কাগজকল সহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলি জলের দরে পেটোয়া পুঁজিপতিদের হাতে বিক্রি করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে সবাই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জনস্বার্থ বিরোধী এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দেওয়া হয়। হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যৌথভাবে প্রচার, অভিন্ন রণনীতি নিয়ে সমগ্র জেলায় জনতার দুয়ারে হাজির হয়ে বিজেপির স্বৈরাচারী ও দেশস্বার্থ বিরোধী চরিত্র উন্মোচিত করার এবং জোটের প্রার্থীদের জয়ী করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জ্যোতিরিন্দ্র দে জানিয়েছেন৷