Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরের সরকারি স্কুলে বেসরকারি সংগঠনের প্রশিক্ষণে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে সরব শিল্পীসমাজ
ওয়েটুবরাক, ২২ আগস্ট : শিলচর আরবান ব্লকের নিম্ন প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বিভিন্ন সংগঠন ছুটির দিনে যে চিত্রকলা, সঙ্গীত, নৃত্যের ক্লাশ করছিল, কাছাড়ের বিদ্যালয়সমূহের উপ-পরিদর্শক তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন৷ এক নির্দেশে জানিয়েছেন, আগে যাদের এ ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল, ওই নির্দেশে সব বাতিল করা হল৷ তাতে শিলচর শহরের বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন ও শিল্পীবৃন্দ জোটবদ্ধ হয়েছেন৷ গঠন করেছেন কাছাড় শিল্পী সমাজ নামে এক প্রতিবাদী সংগঠন৷
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁরা বলেন, সব জায়গাতেই ছুটির পরে বা ছুটির দিনে সরকারি স্কুলে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের বেসরকারি সংগঠনগুলি নাচ-গান-চিত্রকলা শেখায়৷ আবৃত্তি বা নাটকের রিহার্সালের জন্যও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়৷ কিন্তু শিলচর আরবান ব্লকে তা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ রহস্যজনক৷
শিল্পকলা ও বৌদ্ধিক চর্চার সঙ্গে জড়িত এই অঞ্চলের বিশিষ্টজনেরা উপপরিদর্শকের আচরণেও অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ তাঁরা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে কথাই বলতে চাননি৷ এমনকী স্মারকলিপিও রাখেননি৷
ক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজ পরে এ ব্যাপারে সাংসদ ডা. রাজদীপ রায় এবং বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁরা দুজনই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন৷ এ বার শিল্পীসমাজ জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আর্জি জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান৷ তাতেও সাড়া না মিললে তাঁরা অফিসপাড়ায় নাচগান, আবৃত্তি, ছবি আঁকার মাধ্যমে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে আগাম জানিয়ে রাখেন৷
সোমবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রভানু ভৌমিক, আশিস ভৌমিক, নিখিল পাল, সব্যসাচী পুরকায়স্থ, স্বর্ণালী চৌধুরী, অজয় রায়, অমিত শিকিদার, হৃষীকেশ চক্রবর্তী, বিবেক আচার্য, প্রদীপ আচার্য, দেবতোষ নাথ, অরুণকুমার পাল প্রমুখ৷
তাঁরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আগে স্কুলগুলিতে আর্ট, গান ইত্যাদি শেখানো হতো৷ এখন আর সে সবের বালাই নেই৷ ওই সব নিযুক্তিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ এর ওপর, যারা বেসরকারি উদ্যোগে স্বল্প মাশুলে শেখাচ্ছিল, তাঁদের ওপরও না শেখানোর ফরমান জারি হল৷ এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক চর্চা বন্ধের এ এক ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন অনেকে৷