Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলং থেকে এসে লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন লীলা পাল, শেষে করোনায় মৃত্যু
১ আগস্টঃ করোনায় মৃত লীলা পালের মূল বাড়ি হাইলাকান্দি জেলার কারিছড়ায়। এক ছেলে, এক মেয়ে তাঁর। মেয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। ছেলে শিলঙের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তিনি ছেলের সঙ্গেই শিলঙে থাকেন। লকডাউনের আগে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে শিলচরে এসে আটকে পড়েন। সে থেকে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেশবন্ধু রোডে তাঁর নাত-জামাইর বাড়ি। সেখানেও কিছুদিন ছিলেন।
দিনদশেক আগে যান ঘনিয়ালা ইঅ্যান্ডডি রোডে। দিবাকর ঘোষের বাড়ি। অনেকদিনের পরিচয় তাঁদের সঙ্গে। সেখানেই লীলাদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর, কাশি। গত মঙ্গলবার তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ম মেনে প্রথমে কোভিড টেস্ট হয়। রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ফল মেলে নেগেটিভ। ফলে সাধারণ ওয়ার্ডেই ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু বুধবার তিনটা নাগাদ জানানো হয়, আরটিপিসিআর-এর রিপোর্ট, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাঁরাই তাঁকে নিয়ে যান কোভিড ব্লকে। শুক্রবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ-তে রাখা হয়।
রক্তদান আন্দোলনের অগ্রণীপুরুষ আশু পাল তাঁর আত্মীয়। আশুবাবুই জানান, শনিবার সকালে তাঁর অবস্থা জানতে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে তিনি ফোন করেছিলেন। লীলাদেবী তখন ভেন্টিলেশনে। পরে বেলা সোয়া একটা নাগাদ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ফোন করে তাঁর মৃত্যুসংবাদ জানান। তিনি পরে বৃদ্ধার ছেলেমেয়েকে মাতৃবিয়োগের খবর দেন। একজন শিলং, অন্যজন বেঙ্গালুরুতে বসে নাগাড়ে কেঁদে চলেছেন। আশুবাবু বলেন, তাঁদের তো এসেও লাভ নেই। মায়ের মুখ দেখার আর সুযোগ মিলবে কোথায়।