Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিক্ষারম্ভ: বঙ্গসাহিত্যের ডিপ্লোমায় এ বার ভর্তি হলেন ১৯৯ জন
January 24, 2021
২৪ জানুয়ারি : বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের দূরশিক্ষা কেন্দ্র পরিচালিত একবছরের বাংলা ডিপ্লোমা পাঠক্রমের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষারম্ভ হল রবিবার। নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শিলচর বঙ্গভবনে আয়োজিত এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই শিক্ষাবর্ষের সূচনা হয়। শিক্ষা কেন্দ্রের আচার্য ড.সৌরীন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য, সঞ্চালক ড.দিলীপকুমার দে, সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতিশ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত, প্রাক্তন সহ-সভাপতি ড.বিভাসরঞ্জন চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে ১৯৯ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। বরাক উপত্যকার তিন জেলার শতাধিক পড়ুয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও উপত্যকা বহির্ভূত ছাত্রছাত্রীরা এতে যোগ দিতে পারেনি। অবশ্য ইতিমধ্যে পাঠসামগ্রী এবং হোম অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নপত্র সবাই সংগ্রহ করে নিয়েছে।
শিক্ষারম্ভ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতিশ ভট্টাচার্য বলেন, বাংলা ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য সদর্থক পদক্ষেপ৷ উপত্যকার বাইরে এবং বহির্বঙ্গে এর প্রচার ও প্রসারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। পাঠ্যক্রমের সঞ্চালক দিলীপ কুমার দে বলেন, বাংলা ভাষা শিক্ষা প্রসারে বঙ্গসাহিত্যের ভূমিকা সময়োপযোগী৷ তিনি প্রশিক্ষার্থীদের শুদ্ধ করে বাংলা ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিভাস চৌধুরীর বক্তব্যেও একই সুর ধ্বনিত হয়। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দূরশিক্ষা কেন্দ্রের সহ-নিবন্ধক ড. জয়ন্ত দেবরায় এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সঞ্জীব দেবলস্কর, শিক্ষিকা সুজাতা বণিক। শিলচরকে নিয়ে কবি রামেন্দ্র দেশমুখ বঙ্গসাহিত্যের প্রথম অধিবেশনে এসে উচ্চারণ করেছিলেন একটি কবিতা৷ ১৯৭৭ সালের ওই কবিতাটিতে সুরারোপ করে গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সম্মেলনের অন্যতম কর্মকর্তা সুদীপ চক্রবর্তী । উত্তম সাহার ধন্যবাদসূচক বক্তব্যের পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয় এবং বঙ্গভবনের বিশেষ শ্রেণীকক্ষে শুরু হয় প্রথম পাঠদান। বাঙালি ছাড়াও মণিপুরি, ডিমাসা, হিন্দিভাষী এবং অন্যান্য জনজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের বাংলা ভাষায় প্রশিক্ষণ নেবার এ বিপুল আগ্রহ লক্ষ্য করার মতোই ছিল। এ অনুষ্ঠানে এ বছরের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারও প্রশিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন সহ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক কবির হোসেন।