Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে করিমউদ্দিন-আমিনুল তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি
ওয়েটুবরাক, ২০ জুলাই ঃ দুইবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সোনাইর বর্তমান বিধায়ক করিমউদ্দিন বড়ভুইয়া। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে দুইবার দুই শিক্ষাগত যোগ্যতার উল্লেখ করছেন। দুটোই ভুয়ো বলে অভিযোগ সোনাইর প্রাক্তন বিধায়ক, বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক বড়ভুইয়ার। তিনি এ নিয়ে আদালতে গিয়েছেন। আগামী ৪ আগস্ট আদালত করিমউদ্দিন বড়ভুইয়াকে নিজে উপস্থিত হয়ে নথিপত্র পেশের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে বর্তমান ও প্রাক্তনের তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
বিধায়ক করিমউদ্দিন ওরফে সাজুবাবু নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে তিনি ইংরেজিতে বিতর্ক করতে পারেন বলে দাবি করেন। আমিনুলবাবুকে তাঁর সঙ্গে ইংরেজিতে বিতর্কে যোগ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানান। এর জবাবে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার বলেন, এত কথা না বলে তাঁর সার্টিফিকেট জনসমক্ষে তুলে ধরলেই ল্যাঠা চুকে যায়। বর্তমান বিধায়ক দফায় দফায় এ কথা-ও কথা বললেও নিজের সার্টিফিকেট কেন দেখান না প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে ইংরেজিতে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ না জানিয়ে বিধানসভায় বাজেট বিতর্কে ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে বলেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার।
তাঁর কাছে যে সাজুবাবুর শিক্ষাগত অযোগ্যতার নানা তথ্য, সরকারি নথি রয়েছে, সে সব দেখিয়ে আমিনুল হক লস্কর জানান, করিমউদ্দিন বড়ভুইয়া পাবলিক হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। আরটিআই করে জানা যায়, এটা ঠিকই। তিনি ১৯৮৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তবে তখন গ্রেস মার্কের একটা ব্যবস্থা ছিল এবং তা প্রকাশও করা হতো। তাঁকে তেরো নম্বর গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয় বলে আরটিআইতে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি জিসি কলেজে হায়ার সেকেন্ডারি কোর্সে ভর্তি হন। জিসি কলেজ আরটিআই-র জবাবে জানিয়েছে, তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মার্কস রেজিস্টারে তাঁর নামে সব বিষয়ে শূন্য লেখা রয়েছে। আসাম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ আরটিআইয়ের জবাবে ১৯৮৭ সালে করিমউদ্দিন বড়ভুইয়া পরীক্ষায় বসেছিলেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি পাশ করতে পারেননি। আমিনুলবাবুর প্রশ্ন, উচ্চ মাধ্যমিক ফেল ছাত্রটি কী করে চৌধুরী চরণ সিং ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ পাশ করলেন? কী করেই-বা তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করলেন?
করিমউদ্দিন বড়ভুইয়ার জবাব, সব তথ্যপ্রমাণ তিনি আদালতেই পেশ করবেন।