Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শাসকদলের নড়বড়ে অবস্থার জন্য পুর নির্বাচন হচ্ছে না শিলচরে, মন্তব্য তমাল বণিকের
ওয়েটুবরাক, ১৪ ফেব্রুয়ারি : আসামের অন্য পুরসভার সঙ্গে শিলচরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, শিলচর পুর নিগম হবে বলে সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত কাজকর্মের দরুন এখনই শিলচরে পুর নির্বাচন হবে না৷ কিন্তু নির্বাচনী দিনক্ষণ ঘোষণার সময় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার অলক কুমার জানিয়েছেন, একটি বিচারাধীন মামলার জন্য এখানে ভোট হচ্ছে না৷ কিন্তু কোন মামলা, কে আসলে ঠিক বলছেন এ নিয়ে শিলচরবাসীর ধন্দ কাটছে না বলে মন্তব্য করেছেন শিলচর পুরসভার প্রাক্তন সভাপতি, কংগ্রেস নেতা তমালকান্তি বণিক৷ তাঁর সন্দেহ, এই সময়ে শিলচরে পুরনির্বাচন করানোর ইচ্ছাই নেই শাসক দলের।
তিনি বলেন, ক্যাবিনেটে শিলচর পুরসভাকে পুর নিগম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, সরকার ঘোষণা করেছিল, পুর নিগম করার প্রক্রিয়া জোরগতিতে চলছে। সমস্ত আসামের সঙ্গে শিলচরেও পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার যে মিথ্যা কথা বলেছিল, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা তাঁরই প্রমাণ। সরকার পুরসভাকে পুর নিগমে উন্নীত করার কাজ জোরকদমে চলছে বললেও আজ পর্যন্ত কোনও নাগরিক সভা ডাকেনি। পুর নিগমের বর্ধিত এলাকা সম্পর্কে বা পুর নাগরিকদের সুবিধা-অসুবিধা ও প্রত্যাশার বিষয়ে তাঁদের মত বিনিময়ের কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তমালের কথায়, আসলে শিলচর পুরসভা সম্পর্কে সরকারের কোনও সদিচ্ছাই নেই। শাসকদলের নড়বড়ে অবস্থানের জন্য একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া শুধু লজ্জাজনকই নয়, পুরনাগরিকদের অসম্মান সহ গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেতও বটে।
যেহেতু ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে এবং চুরাশিতম সংবিধান সংশোধন অনুযায়ী স্থানীয় মিউনিসিপালিটি প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী আর সেই ক্ষমতা পরোক্ষে জনতারই ক্ষমতা, তাই জনগণের সঙ্গে প্রকাশ্যে আলোচনা করে মিউনিসিপাল বোর্ডকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার কাজ দ্রুত গতিতে সমাপ্ত করে, শিলচরের পুরভোট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করানোর জোরালো দাবি জানান কংগ্রেস নেতা বণিক।
তাঁর বক্তব্য, বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশ ও সামাজিক ন্যায়ের বিষয়টি যেহেতু পুরসভার অন্তর্ভুক্ত, তাই পুরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার পর স্বাভাবিক ভাবেই পুরনিগমের কাজের পরিসর বৃদ্ধি পাবে এবং সে জন্য প্রয়োজন হবে বিপুল অর্থের। তাই বলে বর্তমান কোভিড আবহে পুর নাগরিকদের ওপর যেন বর্ধিত করের বোঝা না চাপানো হয়, সে ব্যাপারে তিনি আগাম জানিয়ে রাখেন। বলেন, অর্থের প্রয়োজন মেটাতে সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাঁর আরও দাবি, জনগণের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের মূল সমস্যা, সুবিধা, অসুবিধা, চাহিদাগুলো জেনে নিয়ে, সেগুলোকে বাস্তবে রুপায়িত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, পুর আইন অনুসারে পুরসভাকে পুর নিগমে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এর পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা কিছু এলাকাকে পুরনিগমের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন পড়বে। সেক্ষেত্রে ওই সব এলাকার মানুষদের সব ধরনের গ্যারান্টি সরকারকে দিতে হবে, যাতে তারা পঞ্চায়েতের অধীনে থেকে যে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, সেগুলি থেকে বঞ্চিত হবেন না, কোনও মতেই অতিরিক্ত করের বোঝা তাদের বইতে হবে না।