Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
শনিবার সকালে বঙ্গভবনে বর্ষবরণ, পুরসভার ভূমিকায় ক্ষোভ
ওয়েটুবরাক, ১৩ এপ্রিল : প্রতি বছরের মতো এ বারও বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির পক্ষ থেকে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে৷ কিশোরদের তবলার লহর দিয়ে আগামী পয়লা বৈশাখ ১৫ এপ্রিল সকাল দশটায় বঙ্গভবনের তেতলায় অনুষ্ঠানের সূচনা হবে৷ পরে আড্ডার মেজাজে হবে নাচ-গান, গল্প-কবিতা৷ থাকবে এক মিনিটের আকস্মিক বক্তৃতাও৷ সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির পক্ষ থেকে সকলের উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে৷
এর আগে শিলচর পুরসভা জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ভাবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করত৷ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতা সহ পরম্পরাগত নানা কর্মসূচি হতো ওই অনুষ্ঠানে৷ কিন্তু দুই বছর করোনার দরুন বন্ধ হলে তা আর চালু করা হয়নি৷ এ নিয়ে খোঁজ করে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের আঞ্চলিক সমিতি জানতে পারে, গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবকে কারণ দেখিয়ে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে৷ বরাক বঙ্গ পুরসভার এই ধরনের এক ঐতিহ্যসম্পন্ন অনুষ্ঠান না করার ঘটনায় আক্ষেপ ব্যক্ত করে৷
পৃথক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত বলেন, এক কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে এই রাজ্যের বাঙালি জনগোষ্ঠী। জনসংখ্যায় রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থানে থাকলেও বহুমাত্রিক বিপন্নতায় জাতির আত্মপরিচয় আজ গভীর সংকটে। সমতা, সমকল্যাণের ভাবধারায় আমাদের জাতীয় সংবিধান যে অধিকারগুলো দেশের নাগরিকদের দিয়েছে, নানাক্ষেত্রে তা থেকে উপেক্ষিত এ রাজ্যের বাংলা ভাষাভাষী জনগণ। এই আলো হাওয়া রৌদ্রে বেড়ে ওঠা বাঙালি এই ভূমির সমৃদ্ধিযাত্রায় অন্যান্যদের সঙ্গে সমান অংশীদার হলেও কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি মেলে না, বঞ্চনার ধারা বহমান। অভয়বাণী শুধু বাতাসেই ভেসে বেড়ায়। তাঁর কথায়, এই পটভূমিতে অখণ্ড বাঙালি জাতিসত্তা চেতনার উন্মীলনই জাতিকে নতুন ভোরের সূর্য দেখাতে পারে। পয়লা বৈশাখ বিশ্বজুড়ে বাঙালি তার আত্মপরিচয়ের প্রত্যয়কে ভাষা,কৃষ্টি, সংস্কৃতি চর্চায় নতুন বোধে নবায়িত করে৷ বরাক উপত্যকাতেও আগামী ১ বৈশাখ শনিবার বাংলা নববর্ষের দিনটি প্রাণ ভরে উদযাপন করার জন্য তিনি সকলের উদ্দেশে অনুরোধ জানান। গৌতমবাবুর আহ্বান, সময়ের দাবি মেনে এই কার্যক্রমগুলোকে প্রাণবন্ত করে নিজের আত্মপরিচয়কে জগতসভায় নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে তুলে ধরুন।