CultureBreaking News
শনিবার রূপমের নাটক প্রতিযোগিতার শেষদিন
২২ ফেব্রুয়ারি: শনিবার রূপমের নরেশচন্দ্র পাল স্মৃতি সর্বভারতীয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা শেষ হচ্ছে৷ এ দিন মোট ৫টি নাটক মঞ্চস্থ হবে৷
- প্রথম নাটক : অধরা মাধুরী
রচনা – ইন্দ্রনীল দে, নির্দেশনা – সপ্তদ্বীপ বিশ্বাস
প্রযোজনা – বিবর্তন থিয়েটার গ্রুপ, হাইলাকান্দি।
নাটকের মুখ কথা –
অরূপ আর তার মাধুরীর গল্প। যে মাধুরীকে সে পেতে চায়, ওকে পাওয়াটা নাকি স্বাভাবিক নয়! বাধা বিস্তর। বিস্তর ভয়। ভয় সমাজের; ভয় অরূপের উচ্চাকাঙ্খী বাবার পলিটিক্যাল কেরিয়ার ধূলিসাৎ হওয়ারও। এই সব ভয়ের জেরেই যেন অরূপ হারিয়ে বসে তার মাধুরীকে। কিন্তু এই হারানো কি চিরকালের? নাকি অরূপদের মাধুরী কখনোই হারায় না?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাটক ‘অধরা মাধুরী’
- দ্বিতীয় নাটক বহমান৷
রচনা সুব্রত নাগ৷ নির্দেশনা: গৌতম দাশগুপ্ত৷ আলো: গোবিন্দ দাস, আবহে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রযোজনা: রূপম, শিলচর৷
- তৃতীয় নাটক-“সত্যের অপলাপ”।
রচনা-নবেন্দু নাথ। নির্দেশনা-বিশ্বজিৎ দত্ত। প্রযোজনা: নাট্যাঙ্গন, শিলচর৷
বিভিন্ন চরিত্রে: বিশ্বজিৎ, রূপক, দেবাশিস, বিশাল, শুভজিত, শুভাশিস, অনামিকা,রূপরাজ, জয়া।
আবহ-বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
রূপসজ্জা-বিশ্বজিৎ নাথসমাজপতি।
আলো-দেবজ্যোতি দেবরায়।
মঞ্চ- বিশাল আচার্য।
নাটকের সারমর্ম:- বর্তমান জাতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের এক বাস্তব ও অকাট্য সত্যকে সামনে রেখেই একাঙ্ক নাটক “সত্যের অপলাপ”।
- চতুর্থ নাটক – ভোর৷
পরিচালক – প্রিয়াঙ্ক রায়৷
আলো – বাপ্পা সেন৷ প্রযোজনা: দক্ষিণেশ্বর সংকেত৷
নাটকের বিষয়বস্তু: মুন্সি প্রেমচাঁদ এর “কফন” অবলম্বনে নাটক ভোর৷
- পঞ্চম নাটক : বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের কমলাকান্তের দপ্তরের “বিড়াল ” অবলম্বনে “বিড়াল ওরফে মার্জ্জার সুন্দরী ।
“রচনা ও নির্দেশনা: রাহুল দাশগুপ্ত। প্রযোজনা: নয়া গ্রুপ , মেহেরপুর।
নাটকের বিষয়বস্তু: আমাদের সমাজের গরিব অবহেলিত নিপীড়িত মানুষের প্রতীক হলো “বিড়াল”। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষপটকে সামনে রেখেই এই নাটকের অবতারণা। সমাজের একদিকে সম্পদের বৈভব আর অন্যদিকে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ জীবন জীবিকা থেকে বঞ্চিত । ক্ষুন্নিবৃৃত্তির জন্য এই বঞ্চিত মানুষগুলি যখন নানা অন্যায়ের পথ অবলম্বন করে নিতে বাধ্য হয়, তখন সমস্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা শাস্তি দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ অথচ অন্যদিকে একশ্রেণীর মানুষ যখন সাধারণ মানুষকে লুটেপুটে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্র নীরব । ভাগ্যের দোহাই দিয়ে গরিব মানুষকে আর কত কাল ভুলিয়ে রাখবে,এই প্রশ্ন নিয়েই এই নাটক।