India & World UpdatesHappeningsAnalyticsBreaking News
লোথালে মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্সের কাজ দেখলেন সোনোয়াল
আহমেদাবাদ, ২৮ ডিসেম্বর : অচিরেই সমুদ্র বাণিজ্যে বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে লোথাল। লোথালে নির্মীয়মাণ ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স (এনএমএইচসি)-র কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে শনিবার এ মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হবে মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স-এর কাজ এবং তা করতে গিয়ে কাজের গুণগত মানের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। কারণ ভারতকে একটি নেতৃস্থানীয় সামুদ্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পটি সমুদ্র পর্যটনকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সামুদ্রিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ভারতের মেরিটাইম কমিউনিটি এবং গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি’র পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প।
এ দিন ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স-এর কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হন সর্বানন্দ সোনোয়াল, কেন্দ্রীয় শ্রম, কর্মসংস্থান এবং যুব বিষয়ক মন্ত্রী ড. মনসুখ মান্ডভিয়া এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। মন্ত্রীরা আইএনএস নিশাঙ্ক, লোথাল জেটি ওয়াকওয়ে এবং মিউজিয়াম ব্লক সহ মূল প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি পরিদর্শন করেন। কাজের অগ্রগতি এবং এর প্রতিকূলতা বোঝার জন্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অসামরিক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সোনোয়াল।
উল্লেখ্য, সাগরমালা কর্মসূচির অধীনে বন্দর, নৌপরিবহন এবং জলপথ মন্ত্রক গুজরাটের লোথালে ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স (NMHC) তৈরি করছে। এই বিশ্বমানের নির্মাণটি প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত ভারতের সামুদ্রিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করবে। এছাড়া সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রকল্পটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি উদ্ভাবনী ‘এডুটেইনমেন্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করবে।
লোথাল, প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার একটি বিশিষ্ট শহর যা গড়ে উঠেছিল 2400 খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এর উন্নত ডকইয়ার্ড, সমৃদ্ধ বাণিজ্য এবং বিখ্যাত পুঁতি শিল্প অতীত ভারতের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ধারণ করে আছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দ্বারা আবিষ্কৃত সিলমোহর, হাতিয়ার এবং মৃৎপাত্রের মতো নিদর্শনগুলি একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ইতিহাস প্রকাশ করে, যা এটিকে হরপ্পা সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে তুলে ধরেছে।