Barak UpdatesHappenings
লায়লাপুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধান
৩ নভেম্বর : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার অসম মিজোরাম সীমান্তের লায়লাপুরে ছুটে এলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধান। এ দিন দুপুরে তাঁরা লায়লাপুরের বিতর্কিত অংশ পরিদর্শন করেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা সীমান্তে মিজো দুষ্কৃতীদের আক্রমণে মৃত ইন্তাজ আলির বাবার সঙ্গেও কথা বলেন। ডিজিপি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে এ দিন লায়লাপুরে যান মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য ও সাংসদ রাজদীপ রায়ও।
এ দিন লায়লাপুর পরিদর্শনের পর মুখ্যসচিব জিষ্ণু বরুয়া বলেন, সীমান্তে সর্বাবস্থায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজ্য সরকার পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে। এ নিয়ে মিজোরামের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এর সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে। তাঁর কথায়, আসাম সরকার শান্ত আলোচনার মাধ্যমে এই বিবাদের নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। এ দিন মুখ্যসচিব জোর দিয়েই বলেছেন, মিজোরাম আসামের যে জমি দখল করে রেখেছে, তা তাঁদের ছাড়তেই হবে। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত বলেন, আসাম সরকার এখনও অনেক ধৈর্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তবে তাতেও কাজ না হলে নিরাপত্তার প্রশ্নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাঁর কথায় কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে এই সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ দিন মুখ্য সচিব জিষ্ণু বরুয়া ও রাজ্য পুলিশের ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত লায়লাপুর ফ্রেঞ্চনগরে মৃত ইন্তাজ আলি লস্করের বাড়িতে পৌঁছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৫ লক্ষ টাকার চেক মৃতের বাবার হাতে অনুদান হিসেবে তুলে দেন। এ দিন সকালে মিজোরাম সরকারের তরফে সশস্ত্র জওয়ানরা অসম পুলিশের হাতে ইন্তাজুল আলি লস্করের মৃতদেহ সমঝে দেওয়া হয়। অসমের পক্ষে মৃতদেহ সঙ্গে নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস। শিলচর মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর তা পরিবারের কাছে সমঝে দেওয়া হয়। তাছাড়া এ দিন সকালে স্থানীয় জনগণ লায়লাপুরে অবরোধ গড়ে তোলেন। তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পরিস্থিতি অবশ্য নিয়ন্ত্রণেই ছিল।