Barak UpdatesHappeningsBreaking News
লালবাগে স্কুলের শিলান্যাসের স্থান নিয়ে বিক্ষোভ জনতার
ওয়ে টু বরাক, ১৩ মার্চ : লালবাগ নিচু এলাকায় প্রস্তাবিত মডেল স্কুল না দিয়ে অন্যত্র শিলান্যাস করায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার জনগণ। বুধবার এ নিয়ে এলাকার কয়েকশো মানুষ তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদী জনতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকপত্রও পাঠিয়েছেন।
লালবাগ নীচ লেনের চা বাগানবাসীর প্রতি অবিচারের প্রতিবাদে বুধবার বড়খলার লালবাগ চা বাগান এলাকায় গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। এখানে একটি মডেল হাইস্কুল মঞ্জুর করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী সমীক্ষা সম্পন্ন হলে নিচ-লেন এলাকার চা বাগানের শ্রমিকরা, প্রস্তাবিত মডেল বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অবহিত না করে ওই স্কুলটি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য প্রকৃত স্থান থেকে অনেক দূরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এতেই ক্ষেপে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই পরিস্থিতিতে ‘ইয়ুথস অ্যাগেনস্ট সোশ্যাল ইভিলস (ইযাসি)’ এর কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ইয়াসি বড়খলা অ্যাসেম্বলি কমিটি জনগণের পাশে দাঁড়ায়।এর প্রেক্ষিতে বুধবার সেখানে প্রায় হাজার স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে একটি নাগরিক সভার আয়োজন করা হয়। অখিল ভূমিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ইয়াসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সঞ্জীব রায়, সহ-সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ শীল, ইয়াসি বড়খলা বিধানসভা কমিটির সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুর্মি, রাজু রিকিয়াসন, নীলিমা ভূমিজ, মেঘনাথ বক্তি, রামু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন বক্তারা এই ধরনের ষড়যন্ত্র এবং অবিচারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা আসাম সরকার এবং বিশেষ করে কাছাড় জেলা কমিশনারের কাছে এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার জন্য এবং লালবাগ নিচ-লেনে মডেল হাইস্কুলটি, যেখানে জরিপ করা হয়েছিল, সেখানে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পুনরায় নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, যেহেতু ৮০ শতাংশ বাসিন্দা লালবাগের নিচ-লেনে বাস করেন, তাই লালবাগের জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ থাকা এলাকায় কীভাবে স্কুলটি স্থাপন করা হচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দারা সম্প্রতি আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা কমিশনার কাছাড়ের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। ইয়াসিও মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও কাছাড়ের জেলা প্রশাসকের কাছে এ মর্মে পৃথক স্মারকলিপি বৃহস্পতিবার জমা দেবে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে পুনরায় সিদ্ধান্ত না নিলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ইয়াসি শীঘ্রই কঠোর আন্দোলনে নামবে বলে এ দিন হুশিয়ারি দিয়েছে।