India & World UpdatesHappeningsBreaking News
রেমাল : জল থইথই কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গে ছয়জনের মৃত্যু
ওয়েটুবরাক, ২৭ মে : টানা ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টিতে জল থইথই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে ছ’জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। তার মধ্যে রয়েছেন কলকাতার এক, পূর্ব বর্ধমানের দুই এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন জন বাসিন্দা। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলবন্দি। কয়েকটি রাস্তায় হাঁটুজল জমে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
বিকেলের পর দীঘায় সমুদ্র খানিক শান্ত হয়েছে। হলদি নদী যে ভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছিল, সে-ও অনেকটা শান্ত। তবে আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গিয়েছে চাষের জমিতে। বিশেষত, হলদিয়ায় এই ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এখনও বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন। পশ্চিম মেদিনীপুরেও টানা বৃষ্টি চলছে। তবে ঝড়ের তাণ্ডব খানিক স্তিমিত হয়ে এসেছে। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর না-মিললেও বেশ কিছু জায়গায় বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
রেমালের দমকা হাওয়ায় পর পর রাখা আটটি গাড়ির উপর ভেঙ্গে পড়ে বরানগর বেঙ্গল ইমিউনিটি কারাখানার ৭০ ফুটের একটি চিমনি। সবকটি গাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং টানা বর্ষণের জেরে ব্যাহত হাওড়া স্টেশন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রে খবর, টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডে লাইনে জল জমে যাওয়ার কারণে এই বিপত্তি। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাওড়া-পাঁশকুড়া, হাওড়া-মেচেদা আপ এবং ডাউনের ছ’টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত হাওড়া-দিঘা আপ এবং ডাউন, তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়নি। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, পাম্প চালিয়ে রেললাইন থেকে জল নামানোর চেষ্টা চলছে। বৃষ্টি না থামলে আরও ট্রেন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা।
মুর্শিদাবাদে আম ও লিচু বাগানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। অতিরিক্ত জলস্ফীতি দেখা গিয়েছে ভাগীরথীতে। বেশ কয়েকটি জায়গায় পার ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জেলা জুড়ে বেশির ভাগ জায়গায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। জেলাশাসকের দফতরে ২৪ ঘন্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে একাধিক বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। বিভিন্ন ঘাটে ফেরি চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায়।