Barak UpdatesHappeningsBreaking News
রেকর্ড ভাল নয়, ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক খারাপ, তেমন মানুষকে দলে নেবে বলে মনে হয় না, বললেন কিশোর নাথ
২১ অক্টোবরঃ রাত দশটা। তারাপুর শিববাড়ি রোডের বাসভবনে তখনও সভা করে চলেছেন বড়খলার বিধায়ক কিশোর নাথ। বিভিন্ন এলাকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়েই মূলত সে সভা। আধঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষার পর তাঁদের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়। মুখোমুখি তখন ‘ওয়েটুবরাক’ এবং কিশোর নাথ।
প্রশ্নঃ সোজাসুজিই জিজ্ঞাসা করি, রুমি নাথ নাকি বিজেপিতে ফিরছেন, বড়খলাতেই প্রার্থী হতে চাইছেন?
কিশোরঃ এই প্রশ্নে আমার জবাব দেওয়ার কিছু নেই।
প্রশ্নঃ এখন কিন্তু এটিই চর্চার ব্যাপার…
কিশোরঃ আমি গতবার যে অবস্থায় ছিলাম, এ বার এর চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায়। আমার সঙ্গে কে আসবে বা আমার বিরুদ্ধে কে লড়বে, তা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমার একটাই লক্ষ্য, এলাকার উন্নয়ন। দলেরও একটাই বক্তব্য, বরাক উপত্যকার ১০০ শতাংশ আসন চাই। ফলে ওইসব নিয়েই চিন্তায় আছি। এর বাইরে কে আসবেন, কে যাবেন, সে সব নিয়ে আমি ভাবছি না।
প্রশ্নঃ যিনি এখনও দলের প্রাথমিক সদস্যও নন, তাঁকে কি প্রার্থিত্বের জন্য প্রজেক্ট করা হতে পারে?
কিশোরঃ একই প্রশ্ন করলেন! আমি এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। দলের হাইকমান্ড ওইসব নিয়ে ভাববেন। বিজেপিতে কাউকে নেওয়া হচ্ছে না, এমন নয়। অনেককেই নেওয়া হচ্ছে। পত্রপত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখবেন, অনেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেস বা অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন তাঁরা। এই সরকারের কাজকর্ম দেখেই দল বদলাচ্ছেন তাঁরা। কংগ্রেসের সময় কী কাজ হয়েছিল? আগে ১৬-১৮ ঘণ্টা লাগত গুয়াহাটি পৌঁছাতে। এখন ৬-৭ ঘণ্টায় পৌঁছে যাই। এই সব পরিবর্তন দেখেই বিভিন্ন দলের নেতারা নিজের দল ত্যাগ করে বিজেপিতে আসছেন। নেওয়ার সময় অবশ্য দলের নেতারা দেখেই নেন। কার কী রকম পজিশন, নেম-ফেম কেমন আছে, সবকিছু দেখবে। এমন নয়, যে কেউ এলো, আর নিয়ে নিল। অনেকে আসেন ব্যাকগ্রাউন্ড ভাল। ভাল কাজ করেছেন, আগামী দিনেও ভাল কাজ করতে পারবেন। তাঁদের দলে নেওয়া হয়। এ রকমও আসতে যাদের রেকর্ড ভাল নয়, ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক খারাপ, যেটা বরাকবাসী বা আসামবাসী ভাল করে জানেন, সে রকম লোককে দলে নেবে বলে আমি আশা করি না।
প্রশ্নঃ কংগ্রেস-এআইইউডিএফ জোট বাঁধলে বিজেপি আসনটি বিজেপির কাছে কতটা চ্যালেঞ্জের হবে?
কিশোরঃ এত বছর রাজত্ব করার পর কংগ্রেসের এআইইউডিএফের সঙ্গে জোট বাঁধতে হল কেন!আমাদের সঙ্গে প্রতিন্দ্বন্ধিতা করার জন্য তারা সবাই জোট বাঁধছে। আসলে বিজেপির কাজকর্ম দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা ভাবতেই পারছেন না, এতটা কাজ হতে পারে পাঁচ বছরে। তাই বিরোধীরা জোট বাঁধলেও আমাদের ভয়ের কিছু নেই। আমরা লক্ষ্যে স্থির।
প্রশ্নঃ আমার শেষ প্রশ্ন, আপনার ড্রিম প্রজেক্ট কোন অবস্থায়?
কিশোরঃ আমার ড্রিম প্রজেক্ট যেটা ছিল, এর কাজ চলছে। সাকসেসও হয়েছে। এর অন্তর্ভুক্ত অনেক ছোট ছোট কাজ রয়েছে। সেগুলি প্রসেসে আছে। আমার মূল লক্ষ্য ছিল, দুধপাতিলের মানুষকে শহরের সঙ্গে সেতুর সাহায্যে যুক্ত করা। এটা আমি করতে পারছি। কাজ চলছে। নদীর মধ্যে বড় বড় পিলার বসেছে। অ্যাপ্রোচও হচ্ছে। করোনার জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে। কিন্তু দ্রুতই তার কাজ শেষ হবে। আমার ড্রিমও তখন সার্থক হবে।