Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
রূপমের নাটক প্রতিযোগিতার আগে শোভাযাত্রায় ব্যাপক সাড়া
ওয়েটুবরাক, ১৫ মার্চ: ৪৩-তম নরেশচন্দ্র পাল স্মৃতি সর্বভারতীয় বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা উপভোগের জন্য দর্শক-শ্রোতাদের আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার বিকেল ঠিক চারটায় এক সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা শিলচর শহর পরিক্রমা করে৷ গোলদিঘি মলের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে বঙ্গভবনে গিয়ে শেষ হয় । এই শোভাযাত্রায় শামিল ছিলেন প্রতিযোগিতার উদ্বোধক অধ্যাপক উষারঞ্জন ভট্টাচার্য, কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ, সংস্থার উপদেষ্টা প্রদীপ দত্তরায়, সভাপতি ড. বিভাস দেব প্রমুখ। ছিলেন শহরের প্রায় সব নাট্যব্যক্তিত্ব, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা৷ বিভিন্ন সংস্থা, ক্লাব, সংগঠন ও অন্যান্যরা মিলে এই সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রাকে প্রকৃতই বর্ণাঢ্য করে তোলে। শোভাযাত্রার মধ্যেই ধামাইল নাচে-গানে পথচারীদের আকৃষ্ট করে তোলেন রূপমের সভ্যরা৷
নাটক প্রতিযোগিতা শনিবার শুরু হবে। শিলচর বঙ্গভবনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ অধ্যাপক ঊষারঞ্জন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রয়েছে গুণীজন সংবর্ধনা এবং শ্রীরামপুর তপস্যা পরিবেশিত একটি নৃত্যানুষ্ঠান ৷ এই কথা জানিয়ে রূপমের সাধারণ সম্পাদক নিখিল পাল বলেন, বরাক উপত্যকা সহ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা থেকে মোট ৩২ টি নাট্যদল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চলবে৷ ২২ মার্চ দুটি প্রদর্শনী নাটক মঞ্চস্থ হবে৷ আগরতলা নাট্যভূমি ‘র পরিবেশন করবে “মানিব্যাগ”। নাট্যকার ও পরিচালক সঞ্জয় কর৷ দ্বিতীয় নাটক কলকাতা ইউনিটি মালঞ্চের পরিবেশনায় “ঘুম ভাঙার গান”৷ নাট্যকার তীর্থঙ্কর চন্দ। পরিচালনা দেবাশিস সরকার।
২৩ মার্চ শনিবার সকাল দশটা থেকে থাকবে প্রতিবারের ন্যায় নাট্য আলোচনা৷ সেখানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী নাট্যদলগুলির নাটক নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন বিচারকরা। বিকেল পাঁচটা তিরিশ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রূপমের শিল্পীদের পরিবেশনায়। এ ছাড়া বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে কলকাতার বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী অরুণিতা রায়চৌধুরী ও দেবাশিস রায়চৌধুরীর পরিবেশনায় গল্প কথা ও পাঠাভিনয়৷
একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা সম্পাদক সুভাষ বর্মণ জানান, এ বছর বিচারক হিসাবে থাকবেন সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় (কলকাতা), দেবাশিস রায়চৌধুরী (কলকাতা) এবং অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী (শিলচর)। প্রতিযোগিতার প্রতিটি নাটক শুরু হবে বিকেল তিনটে থেকে।
প্রতিযোগিতার প্রতিটি নাটকে শ্রোতা দর্শকদের প্রবেশ থাকবে অবাধ। শুধুমাত্র প্রদর্শনী দুটি নাটকে সদস্যপত্র গ্রহণ করতে হবে। সদস্যপত্র রূপমের কার্যালয় এবং বঙ্গভবনে পাওয়া যাবে।
প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে রূপমের মুখপত্র ‘সাংস্কৃতিকী’ প্রকাশিত হবে।