রিনিকিকে কেন্দ্রের সাহায্য! প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব, চ্যালেঞ্জ হিমন্তের

ওয়েটুবরাক, ১৫ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী রিনিকি ভূঁইয়া শর্মা৷ এমনই অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘ক্রেডিট লিঙ্কড’ সরকারি সাহায্য বা ভর্তুকি নিয়েছেন অসমের মুখমন্ত্রীর স্ত্রী রিনিকি। এই অভিযোগ ঘিরেই এখন সরগরম অসমের রাজনীতি৷

সোশ্যাল মিডিয়াতে গৌরব দাবি করেন, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজেই সংসদে এই ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছ থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ১০ কোটি টাকা সাহায্য পেয়েছেন রিনিকি ভূঁইয়া শর্মা৷

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেন, কেন্দ্রের কাছে তাঁর স্ত্রীর সংস্থা কোনও আর্থিক সাহায্য পায়নি। বিজেপির রাজনীতিবিদদের পরিবারের নিজের কোম্পানি চালানোর অধিকার আছে। যদি তাঁরা সরকারি ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলে তাঁরা সেটা পেতেও পারেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী কোনও সাবসিডি পাননি।

কংগ্রেসের সাংসদের টুইট শেয়ার করেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী চ্যানেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি যে কোনও শাস্তি গ্রহণ করতে রাজি। এমনকি আমি রাজনীতি থেকেও অবসর নেব।’ সেই সঙ্গেই এই অভিযোগ করার জন্য গৌরব গগৈর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে রিনিকিও জানান, ২০০৬ থেকেই তাঁর সংস্থা কাজ করছে। কেন্দ্রের কাছে থেকে পিএম কিষান সম্পদ স্কিমে ভর্তুকি পাওয়ার সব যোগ্যতা তাদের ছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও টাকা পাননি।

যদিও এতে দমে যাননি গৌরব গগৈ। তারপরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীকে ‘বিনামূল্যে পরামর্শ’ দিয়েছেন তিনি। গৌরবের পরামর্শ, তাঁদের মানহানি মামলায় যেন পীযুষ গোয়েল এবং বিজেপি সাংসদ পল্লব দাসকেও যুক্ত করা হয়। এদিকে বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী যে কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন, তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে৷

এদিকে, বিধায়ক অখিল গগৈ দাবি করেন, জমির ‘সিলিং অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। যেখানে কারোর নামে ৫০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারে না, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে তার থেকে বেশি জমি আছে৷