India & World UpdatesHappeningsBreaking News
রাহুলের বদলে অনাস্থা প্রস্তাবে আক্রমণ শানলেন গৌরব
ওয়েটুবরাক, ৯ আগস্ট : অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা শুরু হয়েছে৷ চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। শেষে উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা শুরু করেন৷ পরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী খোঁচা মারেন, আমরা তো রাহুল গান্ধীর কথা শুনতে এসেছি।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল বিরোধীদের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্ক শুরু করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রস্তুতি প্রায় সারা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তেমনই বয়ান জারি করা হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈও একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমপ্ল্যান চেঞ্জ হয়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে বিরোধীদের হয়ে আলোচনা শুরু করেন গৌরব গগৈ। অর্থাৎ তিনিই অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা পরিবর্তন, এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
তবে গৌরব অনাস্থা প্রস্তাব এনে প্রথমেই বললেন, মণিপুর জ্বলছে মানে এটা মনে করা ভুল যে, উত্তর পূর্বের কোনও একটি রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে। গোটা ভারতে আগুন লেগেছে। তাই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শাসকদলের অনেকেই মণিপুর নিয়ে আলোচনায় উৎসাহী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের গুরুত্ব তাঁর ও দেশবাসীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।’ প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার জন্য এই কাজ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৪০ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে কথা বলেছিলেন। তাও সংসদের বাইরে – মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য । গগৈ প্রশ্ন তুলেছেন, গুজরাট বা ত্রিপুরার নির্বাচনের আগে দ্রুত গতিতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেখানের মুখ্যমন্ত্রীদের । কিন্তু এখনও কেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করা হয়নি।
বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে স্বীকার করে নেন গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে মেনে নিতে হবে, তাঁর ডাবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরে মুখ থুবড়ে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেন তিনি। বলেন, মণিপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, গোয়েন্দা বিভাগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ৫০০০এর বেশি অস্ত্র ও ৬ লক্ষ গোলাবারুদ রয়েছে সেই রাজ্যের মানুষের হাতে। জনতা পুলিশ স্টেশন থেকেও অস্ত্র লুঠ করছে।