NE UpdatesHappeningsBreaking News

রাজ্যে ১৯ জেলার ৫ লক্ষ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, ২ সেতু নদীগর্ভে

ওয়েটুবরাক, ২৪ জুন: ফের বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে মানস, পাগলাদিয়া, পুটিমারি নদীও। ধুবড়ি, মাজুলির সমস্ত ফেরি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।  অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ দফতর শুক্রবার সকালে মাজুলি-নিমাতিঘাট ফেরি বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে। লখিমপুর জেলাতেও বেশ কিছু গ্রাম এ দিন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। মেঘালয়-যোগীঘোপা সড়কের বালিপাড়ায় ধস পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ। মেঘালয়ের সোনাপুরে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে শুক্রবারও ধসস্রোত বয়ে গিয়েছে। ফাঁকে ফাঁকে যান চলাচলের সুযোগ মেলে৷

অসম সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে আরও দু’-তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আবহাওয়া দফতর সতর্কবার্তা জারি করায় উদ্বেগ বাড়ছে। বহু মানুষ নিচু এলাকা থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। আসামের ১৯ জেলার লক্ষাধিক মানুষ বানভাসি। বিভিন্ন স্কুল, কমিউনিটি হল ছাড়াও উঁচু সড়ক, বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮৮৫২৫ জন নারী-পুরুষ। বজালি জেলার পাঠশালা এলাকায় শহিদ মদন রৌতা মহকুমা হাসপাতালে এ দিন জল ঢুকে পড়ে। রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাঁওয়ে নদীর জল একটি কাঠের সেতু ভাসিয়ে নিয়েছে। তামুলপুরের কুমারীকাটায় ভেঙে পড়েছে সেতু। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নলবাড়ি, বরপেটা, বাকসা, দরং জেলাও।
আধাসামরিক বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বন্যার্তদের ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ করছে। নানা জায়গায় খোলা হয়েছে ১৪০টি ত্রাণ শিবির। এ ছাড়াও রয়েছে ৭৫টি ত্রাণ বণ্টন কেন্দ্র‌৷ সরকারি তরফে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো চলছে। সরকারি সাহায্য না পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker