Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মে মাসের বন্যার পর একমাসেও কেন বাঁধ মেরামতি হল না, জানতে চান তমাল বণিক
ওয়েটুবরাক, ২০ জুন : মাত্র ২৬দিনের ব্যবধানে এবার কাছাড়বাসী প্রত্যক্ষ করলেন দুইটি বন্যা। কাছাড়ের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই। গতমাসের বন্যায় নদীবাঁধের যে ক্ষতি হয়েছিল, বর্ষাকাল সম্পূর্ণ বাকি রয়েছে জেনেও সেটা সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগীয় তরফে কোনও ধরণের তৎপরতা ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান তমালকান্তি বণিক। তিনি আশ্চর্যান্বিত, জনগণের জীবন সম্পর্কে একটা ভোটে জেতা সরকার কতটুকু উদাসীন হলে এই ধরণের ব্যাপার হতে পারে। তাঁর কথায়, জলসম্পদ বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ রয়েছে। ভরা বর্ষার মরশুম যেহেতু চলছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ সারাইয়ের কাজ করার দরকার ছিল। তা না করে বর্তমান রাজ্য সরকার প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসাত্মক বন্যাকে আমন্ত্রণ করে এনেছে। তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক মানুষের ক্ষতিপূরণের দায় সম্পূর্ণ ভাবে সরকারকে নিতে হবে।
কয়েক বছর আগে কাছাড় জেলায় ‘নমামি বরাক’ আয়োজনের সমালোচনা করে তমাল জানতে চান, বরাকের নদীগর্ভ খনন করার প্রতিশ্রুতির কী হল।বলেন, বন্যা ও ভূমিধসে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সমগ্র উপত্যকা । কিন্তু সরকার পক্ষের জনপ্রতিনিধিদের কোনোও হেলদোল নেই। শিলচর শহর যখন বিপজ্জনক ভাবে বন্যার কবলে, আক্রান্ত মানুষেরা দিশাহারা হয়ে পরিবার-পরিজন, অসুস্থ রোগী, শিশুদের নিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছেন তখন পাশের রাজ্য ত্রিপুরার উপনির্বাচনের কাজের ভাওতা দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ত্রিপুরায় পালিয়ে গেছেন। আর শিলচরের সাংসদ এই দুর্যোগের সময় দিল্লিতে বসে গ্রিনফিল্ড বিমান বন্দরের সানাই বাজাচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
তিনি কাছাড়ের জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন, যেহেতু সাংসদের শিলচরের বসতবাড়ি বন্যায় জলমগ্ন, তাই তাঁর বাড়িতে যেন পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। কারণ বর্তমান সরকার শুধুই তাঁদের মানুষদেরই সরকার, জনগণের সরকার নয়।
বন্যার সুযোগ নিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এই অভিযোগ করে তমাল জেলা প্রশাসনকে শক্ত হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে অনুরোধ করেন।