Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মেডিক্যালে নিতে নিতেই মৃত করোনায় আক্রান্ত শিলচরের পুরকর্মী
৩১ জুলাইঃ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন শিলচর পুরসভার অস্থায়ী ট্যাক্স কালেক্টর, বিলপারের তরুণ সায়ন দাস। তিনি দুদিন ধরেই জ্বর-কাশিতে ভুগছিলেন। বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ আচমকা তাঁর অস্থিরতা শুরু হয়। সারা শরীরে প্রচণ্ড জ্বালাযন্ত্রণার কথা বলতে থাকেন। মা শিপ্রা দাস ও ভাই সম্রাট দাস দ্রুত তাকে শিলচর সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ২৬ বছরের সায়নকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রথমে কোভিড টেস্টের জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জানানো হয়, সায়ন করোনায় আক্রান্ত। বিভিন্ন প্রক্রিয়া সেরে তাঁকে যখন অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হয় তখনই কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান, তিনি আগেই মারা গিয়েছেন।
এমন ছটফটে যুবকের মৃত্যুসংবাদে এলাকায় শিলচর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। করোনায় হাসপাতালে নিতে নিতে মৃত্যুর খবরে উদ্বেগও দেখা দেয়। তাঁর মা-ভাই সেখানে পড়েন আরেক সঙ্কটে। তাঁদের বলা হয় কোভিড টেস্টের নমুনা দিয়ে যেতে। তাঁরা আপনজন হারিয়েও সেখানে বসে থাকেন কোভিড টেস্টের জন্য। পরে ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। এরা বাড়ি এলে সকালে অবশ্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনেন। পিএইচই কর্মী শিপ্রা দাসের রেজাল্ট অবশ্য নেগেটিভ আসে। কিন্তু সম্রাটও করোনায় সংক্রমিত বলে রেপিড টেস্টে ধরা পড়ে।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর গুপ্ত বলেন, এটা বড় আক্ষেপের কথা, এখনও মানুষ জ্বর-কাশি হলে ঘরে বসে থাকেন। তিনি এই ধরনের অবস্থায় দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। ডা. গুপ্ত বলেন, মৃত অবস্থায় নেওয়ার দরুন সায়নের মরদেহের পোস্টমর্টেম হবে। এর ওপর রয়েছে স্টেট ডেথ অডিট বোর্ডের সিদ্ধান্ত। সে জন্য প্রয়োজনীয় নথি বোর্ডে পাঠানো হচ্ছে।