NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
মুখ্যমন্ত্রীর সব কথাতেই সন্দেহ প্রকাশ করলেন সুস্মিতা, শ্বেতপত্র চান রিপুণ
ওয়েটুবরাক, ৩ ডিসেম্বরঃ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কথা বলেন এক, আর কাজে করেন আরেকটা। তাঁর প্রতিশ্রুতি, ঘোষণা বা ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত সবেতেই কথা-কাজে অমিল ধরা পড়ে। শনিবার শিলচরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই মন্তব্য করলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি জানতে চান, বরাক উপত্যকার ওপর পাঁচটি সেতুর কী হলে। পুরসভার সামনে যে অস্থায়ী মিনি সচিবালয় তৈরি হল, এর বর্তমান অবস্থাটা কী রকম। ওই সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করা যায়। তিনি নিজে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির নিযু্ক্তিতে স্থানীয়দের নিযুক্তির কথা বলেছিলেন, এখন উল্টোপাল্টা কথা বলে নিজেই প্রমাণ করে দিলেন, তাঁর কথা বিশ্বাস করা যায় না।
চাকরি নিয়ে তাঁর পরিসংখ্যানেও সংশয় প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা। বলেন, চাকরিপ্রাপকদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হোক। তাই শিলচরে ক্যাবিনেট বৈঠকের পরে হিমন্ত যে গুচ্ছ ঘোষণা করেছেন, সেসবের বাস্তবায়ন কতটা হবে, তিনি সন্দিহান। একই ভাবে তিনি যে ডলু চা বাগানের জমিতে বিমানবন্দর তৈরির জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটির অনুমোদন লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন, তাও কতটা সঠিক, সংশয়মুক্ত নন সুস্মিতা দেব। এয়ারপোর্টের অনুমোদনের কপিও দেখতে চান তিনি।
২৯ নভেম্বর ক্যাবিনেট বৈঠক সেরে ডলুবাগানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে লজ্জা পেয়ে আসতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সুস্মিতা দেব। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় মহিলা শ্রমিকদের বিক্ষোভ বড় লজ্জার। তাই পনেরো মিনিটে তিনি বক্তৃতা শেষ করে চলে আসেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের অসম প্রদেশ সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ রিপুণ বরা বলেন, হিমন্ত মন্ত্রিসভাকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তিনি এক আরটিআই-র জবাব দেখিয়ে বলেন, ক্যাবিনেট ডিসিসন ইমপ্লিমেন্টেশন সেল আরটিআইর জবাবে জানিয়েছে, ২০২১-২২ বর্ষে ৮৯০টি ক্যাবিনেট ডিসিসন হয়েছে। এর মধ্যে কয়টা বাস্তবায়িত হয়েছে, সে কথা তারা জানে না। তারা এইটুকু জানতে পেরেছে, ৩০৭টি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রিপোর্ট এসেছে। অর্থাৎ সে সব এখন বাস্তবায়নের দিকে এগোতে পারে। বাকি ৫৮৩টি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এ পর্যন্ত রিপোর্টও জমা পড়েনি। তাই তৃণমূল সভাপতির দাবি, ক্যাবিনেট সিদ্ধান্তসমূহ নিয়ে সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।
শনিবার তৃণমূল কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সভাপতি রাজেশ দেব, সজল বণিক, জ্যোতিরিন্দ্র দে প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন৷