India & World UpdatesHappeningsBreaking News
মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, সু চি সহ আটক বহু রাজনৈতিক নেতা
১ ফেব্রুয়ারি: মায়ানমারে সেনার হাতে আটক হলেন দেশের নেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু চি। আটক করা হয়েছে সে দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও। সোমবার ভোরে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়েছে। দেশের প্রথম সারির রাজনীতিকদের অনেকেরই হদিশ মিলছে না।
আগামী ১ বছরের জন্য দেশের দখল নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মিয়াওয়াদি টিভি। এর আগে, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, প্রায় পাঁচ দশক মায়ানমারে সেনা শাসন কার্যকর ছিল।
নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। এ দিন আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র মুখপাত্র নমিয়ো ন্যুন্ত। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘উত্তেজনার বশে কিছু ঘটিয়ে ফেলবেন না। আইন মেনে চলুন।’’
ভোর থেকে রাজধানী নেইপিদ-এর সমস্ত ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সমস্যা রয়েছে ইন্টারনেটেরও।
নভেম্বরের ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় এনএলডি। তার পর সোমবারই দেশের সংসদের প্রথম অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা। ইয়াঙ্গনে সিটি হল-সহ সর্বত্র সেনা মোতায়েন রয়েছে। যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে কোনও খবর সম্প্রচার করতে পারছে না বলে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি।
দীর্ঘ দেড় দশক বন্দিদশা কাটিয়ে ২০১৫ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দেশের নেত্রী নির্বাচিত হন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সু চি। কিন্তু দেশের পশ্চিমে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উচ্ছেদ এবং গণহত্যার অভিযোগে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মহলে সু চি-র ভাবমূর্তি ম্লান হয়। যদিও দেশীয় রাজনীতিতে আগের মতোই জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে সম্প্রতি আঙুল উঠতে শুরু করে তাঁর দিকে। দেশের নির্বাচন কমিশন যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সংবিধান এবং আইন রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের হাতেই বলে শনিবারই ঘোষণা করে সে দেশের সেনা। তার পর থেকেই অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।