NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
মামলা হারলেন ভেন্ডররা, বিভাগীয় নির্দেশে লামডিঙ ডিভিশনের সব রেলস্টেশনে খাবারের দোকানে তালা
ওয়েটুবরাক, ১৩ ফেব্রুয়ারি : রেল বিভাগের এক নোটিশে দোকানে তালা পড়ায় শিলচর ও বদরপুর সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে খাবারের আকাল। যারা স্টেশন থেকে খাবার নেবেন বলে চলে আসেন, তাদের উপোসই থাকতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শুক্রবার আচমকা রেলের জারি করা এক নোটিশের জেরে লামডিং ডিভিশনের আওতাধীন স্টেশনগুলোর চা-স্টল থেকে শুরু করে সব ধরণের খাবারের দোকানে তালা ঝোলানো হয়৷ ফলে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে শিলচর, বদরপুর, করিমগঞ্জ, ধর্মনগর, আগরতলা, হাফলং, লামডিং, হোজাই, লঙ্কা, চাপারমুখ স্টেশনে। গুয়াহাটি এবং কয়েকটি স্টেশনে আইআরসিটিসি অনুমোদিত হাতেগোনা চা-স্টল, রেস্টুরেন্ট ও হোটেল থাকলেও বহুকাল ধরে চালু দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। শুধু যাত্রী নন, ভেন্ডররাও পড়েছেন কঠিন পরিস্থিতির মুখে। ওইসব দোকানের অসংখ্য মালিক, শ্রমিক এক লহমায় বেকার হয়ে যাওয়ায় তাঁদের দুবেলা খাবার জোটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, আইআরসিটিসি-র নির্ধারিত ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক শর্তাবলী নিয়ে অসন্তুষ্ট ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশন আদালতে মামলা করেছিল। গত ২৪ জানুয়ারি গৌহাটি হাইকোর্টে ঘোষিত রায় তাঁদের অনুকূলে না যাওয়ায় রেল লামডিং ডিভিশনের সবক’টি স্টেশনে খাবারের দোকান খালি করার নোটিশ সেঁটে দেয়। এক মুহূর্তেই ভেতরে রান্না করা খাবার ও রান্নার সামগ্রী যেমন মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, আটা-ময়দা, চিনি-নুন ছাড়াও নানাধরনের মিষ্টি, দৈ, জলের বোতল, বিস্কুট ইত্যাদি জিনিসপত্র রেখেই তালা লাগিয়ে দিতে বাধ্য হন ভেন্ডররা। স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় খাবারের হাহাকার। নিমেষেই পথে বসেন ডিভিশনের অসংখ্য দোকানি ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে পরিবার পরিজনের মুখে অন্ন জোগান দেওয়া শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে বিশেষত বদরপুরে বিশাল বিক্ষোভ হয়। সামিল হন অনেক যাত্রীও। তিনদিন থেকে বদরপুর, শিলচর সহ প্রায় সব স্টেশন কার্যত খা খা করছে।
এদিকে, অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ফের আদালতে পিটিশন করার জন্য সোমবারই নেতারা গুয়াহাটি যাচ্ছেন। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খুব শীঘ্রই তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।