Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
মানিকপুরের পুজো, বিএসএফ গেট খুললেই যেতে হয় মন্দিরে
শারদীয়া পুজো '২৩ : (৬)
ওয়ে টু বরাক, ১৪ অক্টোবর ঃ মানিকপুর করিমগঞ্জ শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। নিউ করিমগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে রয়েছে গ্রামটি। একেবারেই ভারত-বাংলা সীমান্তের গ্রাম। সীমান্ত ঘেঁষা এই গ্রামের একটি মন্দিরে প্রতিবার ধুমধামে দুর্গাপুজো হয়। কিন্তু উল্লেখনীয় বিষয়টি হলো, মানিকপুর গ্রামের যে স্থানটিতে মন্দির রয়েছে সেটি পড়েছে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। দেশভাগের পর এই মন্দিরটি বাদ পড়ে যায় মূল ভূ-খণ্ড থেকে। ফলে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে যেতে হয় এই মন্দিরে।
নো-ম্যান্স ল্যান্ডে থাকায় এই মন্দিরে আসা-যাওয়ার পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ওপর। নির্ধারিত সময়ে গেট খুলে দেওয়া হয়। জানা গেছে, পুজোর দিনগুলোতে ভোর ৫টা থেকেই গেট খুলে দেওয়া হয়। আর লাগানো হয় রাতে। এই এলাকায় যে নিরাপত্তা রক্ষীরা নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এই মন্দিরে নবরাত্রির পুজো দেন, এমন নজিরও রয়েছে। এ বছর নো-ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা এই দুর্গাবাড়ির পুজো ১৫৬ বছরে পা দিয়েছে। ধুমধামে চলছে পুজোর আয়োজন। না, এই পুজোয় কোনও আধুনিকতা নেই, গ্রামের মানুষ একেবারে সাত্ত্বিকভাবেই আয়োজন করেন পুজো।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এই পুজোয় করিমগঞ্জ শহর থেকেও অনেকে আসেন। পুজোর কয়েকটা দিন বেশ ভিড় হয়। সবকিছু বিএসএফ-এর সাহায্য নিয়ে দেখাশোনা করেন এলাকার বাসিন্দারাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতো বছরের পুরনো একটি মন্দির এখন পর্যন্ত কোনও সংস্কার হয়নি। অনেকেই মন্দিরটি সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন।