Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মাধ্যমিক পাশের হারে কাছাড়-করিমগঞ্জকে টেক্কা দিল হাইলাকান্দি
৭ জুন:হাই স্কুল শিক্ষান্ত পরীক্ষায় পাশের হারে হাইলাকান্দি জেলা বরাক উপত্যকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে৷ গত কয়েক বছরে জেলার ফলাফলের বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে৷
হাইলাকান্দি জেলায় মোট ৬ হাজার ৩৩৭ জন পরীক্ষায় বসেছিল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ হাজার ৪৬০ জন। পাশের হার ৫৪.৬০ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম বিভাগে ৬৫৩ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ১ হাজার ১৬৩ জন ও তৃতীয় বিভাগে ১ হাজার ৬৪৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ডিস্টিংশন পেয়েছে ৪২ জন এবং স্টার ১১৪টি।
জেলার সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। জেলায় এবছরও উল্লেখযোগ্য ফলাফল করেছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেণ্ট মেরিজ হাইস্কুল। ৩৪ জনের সবাই উত্তীর্ণ। প্রথম বিভাগে ৩২ জন ও দ্বিতীয় বিভাগে ২ জন। ডিস্টিংশন পেয়েছে ১০ জন। এই স্কুলের অর্ঘকুসুম দাম মোট ৫৬২ নম্বর পেয়ে জেলার শীর্ষে রয়েছে ।
ব্লু ফ্লাওয়ার্স ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ৭৪ জন৷ ৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ৩৫ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ২১ জন ও তৃতীয় বিভাগে ৭ জন। ডিস্টিংশন পেয়েছে ৪২ জন এবং লেটার এসেছে ১১৪ টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ও গণিতে ১০০ নম্বর পেয়েছে যথাক্রমে মুরতাজা হাসান লস্কর ও দেবশ্রী চক্রবর্ত্তী। শিশু সদন হাইস্কুলের ৫৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ১৫, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে ১২ জন করে৷ লেটার এসেছে ২৭টি ও স্টার নম্বর পেয়েছে ৪ জন।
অন্যদিকে, সরকারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্কুলের ১৮ জনের মধ্যে ৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় বিভাগে ৩ ও তৃতীয় বিভাগে ৫ জন৷ লেটার এসেছে ২টি। পাবলিক হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ৮৩ জনের মধ্যে ২৬ জন উত্তীর্ণ হয়। প্রথম বিভাগে একজন ডিস্টিংশন নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় বিভাগে ৭ ও তৃতীয় বিভাগে ১৭ জন উত্তীর্ণ হয়।
ইন্দ্রকুমারী গার্লস হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ৫৪ জনের মধ্যে ৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়। প্রথম বিভাগে ৬, দ্বিতীয় বিভাগে ১৩ ও তৃতীয় বিভাগে ১৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। হরিচরণ মহামায়া গার্লস হাইস্কুলের ৩১ জনের মধ্যে ২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ১, দ্বিতীয় বিভাগে ১০ ও তৃতীয় বিভাগে ১২ জন। হরকিশোর হাইস্কুলের ৮৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ৪, দ্বিতীয় বিভাগে ও তৃতীয় বিভাগে ১৬ জন করে উত্তীর্ণ হয়। বেসরকারি বাংলা মাধ্যমের রয়েল হাইস্কুলের ৬৬ জনের মধ্যে ৬০ জন উত্তীর্ণ হয়। বাকি ৬জন অবশ্য অনুপস্থিত ছিল। ৬০ জনের মধ্যে প্রথম বিভাগে ৩০, দ্বিতীয় বিভাগে ২২ ও তৃতীয় বিভাগে ৮ জন পাশ করেছে। ডিস্টিংশন পেয়েছে দুই জন। স্টার মার্কস ১২ জনের, লেটার এসেছে ৭৪ টি।
আবাসিক আল আমিন ইনস্টিটিউশন থেকে প্রথম বারের মত পরীক্ষায় বসা ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ২০ ও দ্বিতীয় বিভাগে ৯ জন উত্তীর্ণ হয়। স্টার নম্বর পেয়েছে ৪ জন ও লেটার এসেছে ৪১ টি। নেতাজী সুভাষ একাডেমি থেকে ২৮ জনের মধ্যে ২৫ জন উত্তীর্ণ হয়। প্রথম বিভাগে ৯, দ্বিতীয় বিভাগে ১২ ও তৃতীয় বিভাগে ৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। স্টার ২ টি ও ১৪ টি লেটার এসেছে। ড্রীম ল্যাণ্ড ন্যাশনাল একাডেমির ১১ জনের মধ্যে ১০ জন উত্তীর্ণ হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে যথাক্রমে ৫,৩ ও ২ জন উত্তীর্ণ হয়। স্টার পায় ১ জন, লেটার এসেছে ১৩ টি। এছাড়া ও মাটিজুরি হাইস্কুল থেকে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১১ জন । উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৮ জন । প্রথম বিভাগে দুইজন, দ্বিতীয় বিভাগে ২৩ জন ও তৃতীয় বিভাগে ৫৩ জন উত্তীর্ণ হয়।
শান্তিনিকেতন হাইস্কুল থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২৭ জন । এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ জন । প্রথম বিভাগে চারজন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে আটজন করে উত্তীর্ণ হয়েছেন । স্টার মার্কস পেয়েছে তিনজন এবং লেটার এসেছে ১৮ টি । ওরিয়েন্টাল হাইস্কুলের ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ জন । এরমধ্যে প্রথম বিভাগে ৩জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৬ ও তৃতীয় বিভাগে ৭জন উত্তীর্ণ হয়।লয়েল একাডেমি থেকে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ জন । এরমধ্য উত্তীর্ণ হয়েছে ১২ জন । প্রথম বিভাগে১, দ্বিতীয় বিভাগে ৫ ও তৃতীয় বিভাগে ৬ জন উত্তীর্ণ হয় । লেটার এসেছে ৫ টি এবং স্টার মার্কস পেয়েছে একজন । এছাড়াও গার্ডেন রিচ থেকে ১২ জনের মধ্যে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ৮ জন ও দ্বিতীয় বিভাগে ৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এই স্কুলের ছাত্রী তবস্সুম আমিন বড়ভূইয়া ডিস্টিংশন পেয়েছে (৫৪৮) । সে ইংরেজিতে ১০০, বিজ্ঞানেে ৯২, সাধারণ গণিতে ৯৮, ঐচ্ছিক গণিতে ৯৯ ও বাংলায় ৭৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
এদিকে, জেলা শাসক মেঘনিধি দাহাল, শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক রনদীপ কুমার দাম সবাইকে অভিনন্দন জানান। বিদ্যালয় সমূহের পরিদর্শক রাজীব কুমার ঝা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিগত মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় যেভাবে সদ্য প্রাক্তন জেলাশাসক তথা বর্তমানে কাছাড় জেলার জেলা শাসক কীর্তি জল্লির সফল নেতৃত্বের কথাও স্মরণ করেন। পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ও অভিনন্দন জানান৷