Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মহিলার পেটে ১২ কেজি ওজনের সিস্ট, অপসারণ করলেন ডা. সুব্রত, সঙ্গে দেবাশিস-অভিজিত
ওয়েটুবরাক, ৮ মে : পূর্ব শিলচর এলাকার ২২ বছর বয়সী এক মহিলার পেট থেকে বার করা হলো বারো কেজি ওজনের সিস্ট। শিলচর মেহেরপুরের মেডিনোভা ডায়াগনস্টিকস অ্যান্ড সার্ভিসেস হাসপাতালে সোমবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।
মহিলার পেট বিশাল আকারে বাড়তে থাকলেও এ যে সিস্ট, তা ধরতে পারেননি৷ নিজেই ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং এবং যোগ ব্যায়াম করছিলেন৷ কোনও কাজ হয়নি৷ শেষে পেটে ব্যথা হতে থাকলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান৷ তিনি একটি সোনোগ্রাফি করালে ওই সোনোগ্রাফি স্ক্যানের রিপোর্টেই বেরিয়ে আসে পেট বড় হওয়ার আসল রহস্য৷ ধরা পড়ে তার পেটে, ডিম্বাশয়ে সিস্ট। তাকে জরুরি ভিত্তিতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলা হয়৷ এর পরেই রোগীনি প্রখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ সুব্রত ভট্টাচার্যের কাছে যান। ডাক্তার জানান, এক মাস ধরে নানা শারীরিক সমস্যা টের পাচ্ছিলেন৷ পেট বড় হয়ে যাচ্ছে, ওজন বাড়ছে৷ কিন্তু কারণ বুঝছিলেন না৷
বিশদ শারীরিক পরীক্ষার পর ডা. সুব্রত ভট্টাচার্য বিস্মিত, এত বিশাল আকারের সিস্ট নিয়ে তিনি চলছিলেন কী করে! প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা করে তিনি রোগীনির পেটের একটি সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এর পরই সিস্ট সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তিনি রবিবার মেডিনোভা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছিলেন তাঁকে। রক্তশূন্যতার দরুন এত বড় অপারেশনের আগে দুই ইউনিট রক্ত প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মেয়ের উদ্বিগ্ন বাবা দ্রুত রক্তের ব্যবস্থা করেন। অবশেষে সোমবার ভোরে ডা. সুব্রত ভট্টাচার্য অপারেশন থিয়েটারে ঢোকেন৷ সঙ্গে ডা. দেবাশিস বিশ্বাস, অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডা. অভিজিৎ তরাত এবং মেডিনোভা হাসপাতালের পুরো ওটি স্টাফ৷ তাঁর পেট থেকে অ্যাপেন্ডিক্স সহ ডিম্বাশয়ের বিশাল সিস্ট সফলভাবে অপসারণ করেন। ওজন প্রায় ১২ কেজি৷
সমগ্র ওটি, নার্সিং, ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. ভট্টাচার্য বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার দরুণ, আমাদের তরুণ রোগীনি অস্ত্রোপচারের পরে ভাল বোধ করছেন।” তাঁর কথায়, “যখন আমাদের চিকিৎসা এবং সেবায় রোগী ও তার আত্মীয়দের উদ্বিগ্ন মুখে হাসি ফুটে ওঠে, তখন আমাদের বড় ভালো লাগে।”
এর আগে দশ কেজি ওজনের ডিম্বাশয়ের সিস্ট সফলভাবে অপসারণ করেছিলেন ডা. সুব্রত ভট্টাচার্য৷ সেটা দুই বছর আগের ঘটনা৷ তাও মেডিনোভা হাসপাতালেই অপসারণ করা হয়েছিল৷ ওই রোগী কোনও সমস্যা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন বলে ডা. ভট্টাচার্য জানান৷ এ দিন আরও বড় আকারের সিস্ট অপসারণ করলেন তিনি৷ একে বিরাট কৃতিত্ব বলেই মনে করছেন অন্যান্য চিকিৎসক এবং রোগীর পরিবারের সদস্যরা৷