India & World UpdatesHappeningsBreaking News
ভেন্টিলেশনে সৌমিত্র, ঠিকঠাক কাজ করছে না কিডনি
২৭ অক্টোবর : শারদীয়া দুর্গোতসব শেষে বাঙালির মন এমনিতেই ভারাক্রান্ত। তার ওপর আরও এক খারাপ খবর। বাংলা ছবির জগতের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। হাসপাতালের তরফে জানা গেছে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ৪০ শতাংশ অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে তাঁকে। ৮৫ বছর বয়সী সৌমিত্রের শরীরে ক্রমশ কমছে হিমোগ্লোবিন, প্লেটলেট কাউন্ট। এমনকি অন্ত্র থেকে একটি রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রবীণ এই অভিনেতার একের পর এক অঙ্গ এ বার নাকি বিকল হতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও মেডিক্যাল বোর্ড এখনও এ মর্মে কোনও বার্তা দেয়নি। তবে তাঁর কিডনি কাজ করছে না বলে যেমন জানা গিয়েছে তেমনি তাঁর শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের তারতম্যও নাকি চিকিত্সকদের চিন্তা বাড়িয়েছে। এমনকি তিনি এখন অচেতন অবস্থাতেই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
সোমবার রাতেই ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর দেহের স্নায়ুতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে না। বিশেষ করে মস্তিষ্কের স্নায়ু প্রায় অচল হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁর হার্ট, কিডনি, ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে সোমবার রাতেও কাজ করছিল বলে জানিয়েছিল তাঁর চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ড। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তাঁর কিডনিও সঠিকভাবে কাজ করছে না। করোনা এনসেফ্যালোপ্যাথির সংক্রমণ বেড়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে। সৌমিত্রবাবুর চেতনাও কমে গিয়েছে। পাশাপাশি কমেছে তাঁর রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যাও। শরীরে বেড়েছে ইউরিয়া আর সোডিয়ামের মাত্রা। ইমিউনোগ্লোবিন এবং স্টেরয়েড দিয়ে একটা সময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
চিকিত্সকেরা আরও জানিয়েছেন, তাঁর সেকেন্ডারি নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। তাই তাঁকে সোমবারই ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। সৌমিত্রবাবু করোনা মুক্ত হওয়ার পর আশা দেখছিলেন তাঁর গুণমুগ্ধরা। কিন্তু অষ্টমী থেকে ফের অবস্থার অবনতি। প্লেটলেট ক্রমশ কমছে অভিনেতার। রাইস টিউবের মাধ্যমেই খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। সৌমিত্রকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হতে পারে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে চিকিত্সকদের আশা, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অভিনেতা। মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। গত সপ্তাহে তাঁর করোনাভাইরাস রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। তবে তাঁর স্নায়বিক অবস্থা নিয়ে উত্কণ্ঠা ছিল। তারইমধ্যে আবারও উদ্বেগ বেড়েছে।