NE UpdatesHappeningsBreaking News

ভুপালে চলছে বিদ্যুৎ গ্রাহক সম্মেলন, অসমেরও রয়েছেন ২০ প্রতিনিধি

ওয়েটুবরাক, ৮ এপ্রিল : বিদ্যুৎ খণ্ডের বেসরকারিকরণ বন্ধ করা, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল বাতিল, প্রিপেড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত প্ৰত্যাহার এবং সাধারণ গ্ৰাহকদের ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা সহ মোট ১৪ দফা দাবিতে শনিবার মধ্যপ্রদেশের ভুপালে শুরু হয় দু’দিনের প্রথম সর্বভারতীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক সম্মেলন। অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২০জন প্রতিনিধি উক্ত সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ার ফেডারেশনের সভাপতি শৈলেন্দ্র দুবে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভি কে এস পরিয়ার সহ গণমান্য ব্যক্তিগণ। ভুপালের নিলম পার্কে অল ইন্ডিয়া ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমাৰ্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ঘোষের সভাপতিত্বে পরিচালিত প্রকাশ্য অধিবেশনে বিদ্যুৎ বিভাগের বহু প্রাক্তন আধিকারিগণ, বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্ৰাহক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক সহ অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের  আহ্বায়ক অজয় আচাৰ্য বক্তব্য রাখেন। প্রকাশ্য অধিবেশনের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমর কুমার সিংহ বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ একটি অত্যাবশ্যক পরিষেবা৷ বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক সভ্যতা এক মূহুৰ্তও চলতে পারে না। ফলে বিদ্যুতের ব্যবহারকে মানুষের মৌলিক বুনিয়াদী অধিকার হিসেবে গণ্য করা উচিত।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিদ্যুৎ খণ্ডকে কেন্দ্র সরকারের হাতে নিয়ে এসে বিদ্যুৎ বিতরণ আইন ১৯৪৮ তৈরি করেছিল। সেই আইনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অতি অল্প দামে বিদ্যুৎ প্রদান করা। কৃষকদের অতি অল্প দামে পাম্প সেট ব্যবহার করে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম করা। শিল্প ও পরিবহণ ইত্যাদির বিকাশে বিদ্যুতের ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া। সরকারের অর্থে দেশে গ্রিড তৈরি হওয়ার পর গত শতাব্দীর শেষের দিকে দেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটার সুযোগ নিতে তাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় এবং তাদের সুযোগ করে দিতে বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ সংসদে গৃহীত হয়। ফলে পুঁজিপতিরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়ে যায় এবং সেই বিল সাধারণ গ্ৰাহকদের স্বাৰ্থের পরিপন্থী এবং কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করে। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে যখন গোটা দেশে লকডাউন চলছিল, তখন কেন্দ্র সরকার বিদ্যুতকে পরিষেবার পরিবর্তে লাভজনক পণ্যে পর্যবসিত করতে বিদ্যুতের বিতরণ ব্যবস্থাকেও পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল উত্থাপনের চেষ্টা করে। এই বিল কৃষক সহ সাধারণ গ্ৰাহকদের স্বাৰ্থের চূড়ান্ত পরিপন্থী। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল, এই বিল সংসদে গৃহীত না করা। ফলে আন্দোলনের চাপে সে সময় তা চালু করতে ব্যর্থ হলেও বর্তমানে তা পুনরায় চালু করতে কেন্দ্র সরকার তৎপরতা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের উপস্থিতিতে প্রথম সর্বভারতীয় সম্মেলনের প্রকাশ্য অধিবেশন সফল হয়। এদিন বিকেলে দেশের ১৭টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা ভুপালের গান্ধী ভবনে অনুষ্ঠিত দু’দিনের প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker