Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ভাষাশহিদ স্টেশন: কাল শহরের বিশিষ্টজনদের নিয়ে সভা
২৬ সেপ্টেম্বর: এক ডিমাসা সংগঠনের ভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে ভাষাশহিদ স্টেশন শিলচর নামকরণের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখার প্রেক্ষিতে কী করণীয়, তা চূড়ান্ত করতে আগামী রবিবার বিকাল ৪টায় এক সভা আহ্বান করা হয়েছে৷ ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি আহূত ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে শিলচরে রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাগৃহে৷ সমিতির সভাপতি বাবুল হোড় বলেন, সমস্ত দিক বিবেচনা করে ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর ‘ভাষা শহিদ স্টেশন, শিলচর’ নামকরণে কেন্দ্র অনুমোদন জানিয়েছিল৷ আসাম সরকারকে শুধু নতুন নামের বানান (রোমান, দেবনাগরী ও আঞ্চলিক) কী হবে, তা জানিয়ে গেজেট নোটিফিকেশন করতে বলা হয়েছিল। আসাম সরকার এ ব্যাপারে বারবার আশ্বস্ত করলেও বিধানসভার গত অধিবেশনে তা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে দেয়৷
বাবুলবাবুর কথায়, ২০১৭ সালে কাছাড়ের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে দিয়ে বিষয়টির খুঁটিনাটি দ্বিতীয়বার অনুসন্ধান করা হয়। সেখানেও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ রিপোর্ট দেয়, কোথাও কোনও সমস্যা নেই। বরং বলা হয়েছিল, এই নতুন নামকরণ উপত্যকার প্রতিটি অংশের মানুষ সাদরে গ্রহণ করবেন। সেই সময় ডিমাসা জনগোষ্ঠীর একটি সংগঠন শিলচর স্টেশনের নাম বীর শম্ভুধন ফাংলো’র নামে করার দাবি করে। পুলিশ তার রিপোর্টে সেটাও উল্লেখ করেছিল, এই দাবি খুবই ক্ষুদ্র অংশের। এতে আইনশৃঙ্খলার কোনও শঙ্কা নেই।
ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতির দাবি, ২০০৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকেই বিভিন্ন ভাষিক জনগোষ্ঠীর সাথে ডিমাসারা ছিলেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সূচি, মিছিল, মানবশৃঙ্খলে তাঁদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া, রেলওয়ে সংসদীয় কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়ার ভাষাশহিদ স্টেশন পরিদর্শনকালে সকলের সঙ্গে একই সুরে ডিমাসা সংগঠনও তাঁর হাতে স্মারকপত্র তুলে দিয়েছিল।
এই প্রেক্ষাপটে নিজেদের দাবি আদায়ে কীভাবে এগুনো যায়, তা জানতেই শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরামর্শ চাইছেন বাবুল হোড়, রাজীব কর, স্বপন দাশগুপ্তরা৷