Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ভগ্নীপতির ছুরিকাঘাতে লক্ষীপুরে ১২ বছরের কিশোরের মৃত্যু
ওয়েটুবরাক, ২৪ জুলাই : ভগ্নীপতির ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারাল ১২ বছরের কিশোর। লক্ষীপুর থানার লালাং লাবকপার প্রথম খণ্ড শিবটিলা গ্রামের এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
বছর পাঁচেক আগে শিবটিলা গ্রামের সেলিম উদ্দিন লস্করের মেয়ে ফতিমা বেগম লস্করের বিয়ে হয় বাঁশকান্দি তারাপুর গ্রামের আজাই মিয়া লস্করের ছেলে সাজু মিয়া লস্করের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক মাস সবকিছু ঠিকঠাক চললেও এর পরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তবে সালিশী সভায় বিবাদ মিটে যায়। এই ধরনের বিবাদ ও সভা ডেকে মিটমাট বেশ কয়েকবারই হয়৷ কিন্তু গত ৮ মাস আগে শারীরিক অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালে ফতিমা বাবার বাড়িতে চলে যান। সাজু আগের মত সভা বসানোর চেষ্টা করলেও তিনি ফিরতে রাজি হলেন না৷
শুক্রবার রাতে গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় সাজু ফতিমার বাবার বাড়িতে যায়। সাজু মিয়া লস্কর বলপূর্বক ফতিমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ভাই শামসুল আলম লস্কর বাধা দেন। শ্যালক-ভগ্নীপতিতে হাতাহাতি শুরু হয়। হঠাৎ ছুরি বের করে আক্রমণ চালায় সাজু। জখম হন শামসুল৷ সাজুরা ফতিমার ওপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করলে ১২ বছর বয়সী ছোট ভাই সাইদুল আলম লস্কর বাধা দেয়৷ এরা তার গলায় এবং পেটে উপর্যূপরি আঘাত করে।
চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সাজু ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ তখনই পুলিশের দল গিয়ে সাজু মিয়া লস্কর সহ পাঁচজনকে আটক করে। দুই ভাই সাইদুল আলম লস্কর এবং শামসুল আলম লস্করকে তড়িঘড়ি পয়লাপুল ইমানুয়েল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা সাইদুল আলম লস্করকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শামসুল আলম লস্কর এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।