India & World UpdatesHappeningsCultureBreaking News
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের জীবনাবসান
ওয়েটুবরাক, ১০ জুনঃ বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনির সমস্যা থাকায় গত কয়েকদিন ধরে ডায়ালিসিস চলছিল। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবি তাহাদের কথা, বাঘ বাহাদুর, উত্তরা, চরাচর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, কালপুরুষ ইত্যাদি।
তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র, সাহিত্যপ্রেমী তো বটেই, সাধারণ জনতার মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু বিশিষ্টজন।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত স্পেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, এথেন্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড, বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন বেয়ার পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। পরিচালক গৌতম ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। ভাবতে পারছি না। ওঁর আর আমার একসঙ্গে শুরু। আমাকে জোর করে অভিনয় করিয়েছিল। অনেক স্মৃতি ওঁর সঙ্গে। সবটাই সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে।’ শোকপ্রকাশ করে পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, ‘শেষ কথা হয়েছিল আমার শেষ ছবির সময়। দেখা হয়েছিল বহুদিন আগে। শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। উনিই একজন যিনি আশ্চর্য প্রদীপ দেখে বলেছিলেন, আগের ছবির থেকে এটা ভাল হয়েছে। কলেজ জীবনে যাঁদের কাজ আমাকে অনুপ্রাণিত করত, তাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত অন্যতম। অত্যন্ত বড় মাপের মানুষ।’
ট্যুইটারে শোকবার্তা দিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, একে একে সবাই যেন হারিয়ে যাচ্ছেন। বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত শুধু ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতেরই নয়, আন্তজার্তিক চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্বল নাম। সৌভাগ্যবশতঃ তাঁর সঙ্গে দু’টি সিনেমা করার সুযোগ হয় এবং বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর সঙ্গে গিয়ে জানতে পারি, আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর অন্যধারার সিনেমার কদর কতটা। গর্ব হয় বাঙালি হিসেবে। বুদ্ধদা মানুষ হিসেবেও অতুলনীয়। ভালো থেকো। তোমার কাজের মধ্যে দিয়েই আমাদের মাঝে থেকো।