India & World UpdatesHappeningsBreaking News
বিহারের জাতিগত জনগণনা, তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী
ওয়েটুবরাক, ৪ অক্টোবর : জাতি পরিচয়ের ভিত্তিতে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে বিরোধী দলগুলি। নাম না করে বিহারের জাতিগত জনগণনার ফলাফলকে এইভাবেই তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ৬০ বছর ধরে এইভাবেই মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের একটি জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ৬০ বছর ধরে ‘উন্নয়নের শত্রুরা’ কোনও ভালো কাজ করেনি। কিন্তু গত ৯ বছরে বিজেপি এসে প্রচুর উন্নয়ন করেছে। গোটা বিশ্ব আজ ভারতের প্রশংসা করছে। কিন্তু সেই ভালো কাজগুলো এতদিন হয়নি কেন? আসলে তারা গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করেছে। জাতি পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভাজন ঘটিয়েছে সমাজে। দেশকে ভাগ করতে চাইছে জাতির নিরিখে। সেই পাপ কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তারা।” নাম না করে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী৷
সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে বিহারের জাতিগত জনগণনার ফলাফল। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। জাতিগত জনগণনার ফলাফলকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব।
উল্লেখ্য, আসন্ন জনগণনায় তফসিলি জাতি ও জনজাতি ছাড়া আর কোনও জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কেন্দ্রের আপত্তি উড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছিল বিহারের জাতিগত জনগণনা। কংগ্রেসও জানায়, লোকসভা নির্বাচনে জিতলে গোটা দেশেই জাতিগত জনগণনা করবে তারা। সেই সিদ্ধান্তকে বিভেদ বাড়ানোর চেষ্টা বলেই তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী।