Barak UpdatesHappenings
বিবেকানন্দ শিলাস্মারকের ৫০ বছর পূর্তিতে ব্যাপক কার্যসূচি করিমগঞ্জে
স্বামীজি ভারতের প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন, বললেন প্রভাসানন্দ মহারাজ
১৪ সেপ্টেম্বর: দক্ষিণ ভারতে যেখানে তিনদিকে সাগর, মধ্যে বিশাল শিলাখন্ড, সেখানে বসে ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেখান থেকে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে আমেরিকায় যান৷ আর ভারতকে যথাযথ তুলে ধরে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের মন জয় করেন। স্বামীজী যে শিলাখণ্ডে ধ্যান করেছিলেন আজ তা পুণ্যভূমি । গোটা বিশ্বের তীর্থস্থান। ৫০ বছর আগে একনাথ রানাডে এই শিলাখন্ডকে বিবেকানন্দ শিলাস্মারক হিসাবে গড়ে তোলেন । বিশ্ব ভাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী করিমগঞ্জ শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে এ ভাবেই নিজের অভিমত তুলে ধরেন করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান প্রভাসানন্দ মহারাজ৷
তিনি বলেন, সমাজে বতর্মান সময়ে যে বিভেদ ও মতবিরোধের রাজনীতি চলছে, তা থেকে পরিত্রাণের মন্ত্র বহু বছর আগেই দিয়ে গেছেন বীর সন্ন্যাসী। স্থানীয় বেবিল্যান্ড স্কুলে আয়োজিত সভায় প্রভাসানন্দজি বলেন, শিকাগো সম্মেলনে স্বামীজি বলেছিলেন, সব মানুষ ভগবান, প্রত্যেক মানুষকে ভগবানে উত্তীর্ণ করার জন্য সাহায্য করতে এসেছি৷” তিনি বলেন, তখনকার দিনে বহির্বিশ্বে ভারত ও ভারতীয়দের ঘৃণা করা হতো। তাই পরাধীন ভারতবর্ষের দুরবস্থার মধ্যেও পজিটিভ কত কিছু যে ছিল তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতেই স্বামীজি বিশ্বধর্মসভায় যান। রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে নিজের দেশের বার্তা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেন, সেই কাজটিই করেছেন তিনি। তাই তিনিই দেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত। স্বামী বিবেকানন্দের আগে এরূপ কাজ কেউ করেননি৷ অত্যন্ত সাবলীল ভাবে স্বামীজির শিকাগো বক্তব্যের উপর আলোকপাত করে প্রভাসানন্দ মহারাজ বলেন, বিবেকানন্দ প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, কোটি কোটি মানুষ রুচিবৈচিত্র্যের জন্য নানা ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। রুচি ভেদে নানা ধর্ম অবলম্বন করেও সবাই একই জায়গায় পৌঁছায়। সব ধর্মেই মহাপুরুষত্ব, পবিত্রতা, দয়া — দাক্ষিণ্য আছে। তাই সবাই এক হয়ে ভেদভাব ছেড়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
প্রথম পর্যায়ের আলোচনা সভায় ড. মৃণালকান্তি দত্তের পৌরোহিত্য করেন৷ প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী করিমগঞ্জ কার্যস্থানের সংযোজক অরূপ রায়ও। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন কেন্দ্রের বরাক বিভাগ সহ-সংযোজক লোপামুদ্রা চৌধুরী। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন কুন্তলা নাথ, শ্রাবণী পাল৷ তবলায় ছিলেন রাজেশ নাথ৷ সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের সহ-সংযোজক গৌতম দেব ।