Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিপিন পাল সভাস্থলে শুরু ৩১তম শিলচর বইমেলা
ওয়ে টু বরাক, ২১ নভেম্বর : সোমবার শিলচরের বিপিন চন্দ্র পাল সভাস্থলে একাধিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩১তম শিলচর বইমেলার উদ্বোধন হয়েছে। এ দিন করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালা, বইমেলা কমিটির চেয়ারম্যান হারাণ দে, সভানেত্রী স্বর্ণালী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব পাল চৌধুরী, যুগশঙ্খ পত্রিকা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিজয়কৃষ্ণ নাথ, কংগ্রেস নেতা সঞ্জীব রায়, সাংবাদিক শিবাশিস চক্রবর্তী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন।
এ দিন সাংসদ কৃপানাথ মালা বক্তব্যে শিলচর বইমেলা বরাক উপত্যকার গৌরব বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগেও বইয়ের গুরুত্ব রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতির জন্য আজ সবার কাছে মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুলভ সুযোগ এসে পৌঁছেছে। সেই সূত্রেই বর্তমান তরুণ সমাজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের বিভিন্ন মাধ্যমকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ডুব দিয়েছে। তবে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও মন্দ দুদিক রয়েছে। সমাজে বইমেলা যত বেশি হবে ততই জ্ঞান বাড়বে। গুয়াহাটি ও দিল্লির বইমেলায় গেছেন তিনি। যেসব বই সচরাচর পাওয়া যায় না, সেইসব বইমেলায় পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বক্তব্যে বইমেলা আয়োজনে সরকারি সাহায্য ও বিপিন পাল সভাস্থল উপযোগী করে তোলার জন্য আশ্বাস দেন। এ দিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব পাল চৌধুরী। এছাড়া যুগশঙ্খ পত্রিকা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিজয় কৃষ্ণ নাথ বইমেলার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে পৃথিবীর প্রথম বইমেলা হয়েছিল। এর ইতিহাস ৫০০ বছর পুরনো। বহু শতাব্দী ধরে ইউরোপের বাণিজ্য ও ব্যাংকিংয়ের কেন্দ্রে ছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট শহর। ১৪৭৮ সাল থেকেই এখানে বইমেলা হতো এবং তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তখন অবশ্য মুদ্রণ যন্ত্র হয়নি। হাতে লেখা পাতা দিয়ে বই প্রদর্শন হতো। তিনি শিলচরে বইমেলা আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী বারীন্দ্র কুমার দাস। উল্লেখ্য, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বই মেলা। মেলায় কুড়িটি স্টলে গুয়াহাটি, কলকাতা সহ শিলচরের বই বিক্রেতারা এবং প্রকাশকরা বই নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন l এ দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কমিটির সহকারী সম্পাদক গৌতম তালুকদার। উল্লেখ্য, বইমেলার পরিতোষ পাল চৌধুরী স্মৃতিমঞ্চে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।