বিনা ফি-তে কার্ডিওজিস্ট: স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্মারকপত্র

২৪ জুন: ‘পিপলস সায়েন্স সোসাইটি, শিলচর’, ‘মার্চ ফর সায়েন্স, শিলচর চাপ্টার’, বীক্ষণ সিনে কমিউন এবং ‘হাজার সায়ন্তন’ গ্রুপের পক্ষ থেকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কার্ডিওলজি বিভাগে তামিলনাড়ুর এম জি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. রাকেশ পি গোপালের নিযুক্তির ক্ষেত্রে আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উপযুক্ত অনুমতি শীঘ্রই প্রদানের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট দুটো স্মারকপত্র  প্রদান করা হয় ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মার্চ মাসে শিলচর ক্যানসার হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক পদ্মশ্রী রবি কান্নানের বিশেষ অনুরোধে ডা. রাকেশ পি গোপাল শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কার্ডিওলজি বিভাগে কাজে যুক্ত হতে একটি চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেন । শিলচর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ চুক্তিপত্রটি সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দেয় । রাকেশ পি গোপাল কোন ধরনের প্রারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করবেন বলে জানান । কিন্তু এ সুযোগ পাওয়ার পরও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কোনও অজানা কারণে ফাইলটি তিন মাস ধরে চাপা দিয়ে রেখেছে । অথচ এতদিন স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হতো, শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কোনও কার্ডিওলজিস্ট আসতে রাজি হচ্ছেন না।

এদিকে, ‘হাজার সায়ন্তন’ গ্রুপের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছর দুর্গাপূজার দশমীর দিন শিলচরের তরুণ সায়ন্তন চক্রবর্তী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে গেলে চিকিৎসকের অভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়়নি৷ অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে । এরপর তাদের আন্দোলন শুরু হলে শিলচর বিধায়কের সহায়তায় তারা আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে দেখা করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কার্ডিওলজিস্ট নিয়োগ করার দাবি জানায় । তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কার্ডিওলজিস্ট নিয়োগের আশ্বাস প্রদান করেন । কিন্তু ঘটনার প্রায় বছর ঘুরতে চললেও আজও মেডিক্যাল কলেজে কোনও কার্ডিওলজিস্ট নেই। যার ফলে সায়ন্তনের মতো অনেক প্রাণ অকালেই ঝরে পড়ে । তাই ড. রাকেশ পি গোপাল যখন শিলচরে আসতে রাজি হয়েছেন তখন তাকে যে ভাবে হোক এখানে নিয়ে আসতে হবে ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকপত্র দুটো উপায়ুক্তের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক এম আর মজুমদারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । স্মারকপত্র প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন পিপলস সায়েন্স সোসাইটি, শিলচর-এর সাধারণ সম্পাদক কৃষাণু ভট্টাচার্য, বীক্ষণ সিনে কমিউন-এর পক্ষে কমল চক্রবর্তী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অরিত্র ধর, মার্চ ফর সায়েন্স-এর পক্ষে হিল্লোল ভট্টাচার্য, হাজার সায়ন্তন গ্রুপের পক্ষ থেকে সৌমিত্র শংকর চৌধুরী , সঞ্জয় এন্দো, অলক শংকর ভট্টাচার্য, বিমলাংশু পাল, সন্তু চক্রবর্তী প্রমুখ ।