Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিধানসভায় ভাষা আইনের ৫(ক) ধারার ব্যাখ্যা, নতুন বিতর্ক
ওয়েটুবরাক, ২১ ডিসেম্বর : আসাম সরকারি ভাষা আইন (সংশোধিত) নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জবাবে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ১৯৬০ সালের অসম সরকারি ভাষা আইনে শুধুই ৫(ক) একটি পৃথক ধারা যুক্ত হয়েছে। বাকি সব একই আছে৷ ৫(ক) ধারায় বলা হয়েছে, “৩ নং ধারায় সন্নিবিষ্ট ব্যবস্থাবলী ক্ষুন্ন না করে কাছাড় জেলার অন্তর্গত (বর্তমানে বরাক উপত্যকা) জেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসনিক বা অন্যান্য কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার হবে।” সেই সঙ্গে তিনি ৩ নং ধারার উল্লেখ করে বলেন, অসমে সকল সরকারি কাজে অসমিয়া ভাষার ব্যবহার হবে৷ কমলাক্ষের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, ওই ৩ নং ধারার ব্যবস্থাবলী ক্ষুন্ন না করে বরাকের সরকারি কাজে বাংলাই ব্যবহৃত হচ্ছে।
কমলাক্ষ একই প্রশ্নে পরে জানতে চান, অসম সরকারি ভাষা আইন অনুসারে বরাকের সরকারি সাইন বোর্ড কোন ভাষায় হবে? মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, “বরাক উপত্যকার সরকারি সাইনবোর্ডে অসমিয়া ভাষার ব্যবহার অক্ষুন্ন রেখে বাংলা ভাষার প্রয়োগ হতে পারে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই জবাব যথাযথ নয় বলেই বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সংগঠন মন্তব্য করছে। শিলচর জেলা বার সংস্থার সভাপতি নীলাদ্রি রায় বলেন, অসম সরকারি ভাষা আইনের ৫(ক) ধারায় বাংলার ব্যবহারের জায়গায় ‘শেল বি’ বলা হয়েছে। এখানে ‘পারে’ কোনও কথা নেই। ‘শেল বি’ বলে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “নইলে আর বাংলাভাষার জন্য বিশেষ অনুচ্ছেদ বা সংশোধনীর কী প্রয়োজন ছিল!”
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপসভাপতি ইমাদউদ্দিন বুলবুল বলেন, সরকার ৩ নং ধারা অক্ষুন্ন রাখার জায়গায় বেশি জোর দিতে চাইছে। আসলে এটা অনুবাদের বিষয় নয়, আইনি পরিভাষা মাত্র। সংযোজিত কোনও ধারাই যেন আগের ধারাকে নস্যাৎ না করে, সে জন্য এর উল্লেখ করা হয়। ভারতের সব আইনেই এই পরিভাষা ব্যবহার করা হয়। এর মানে এই নয় যে, আগের ধারাগুলিই নতুন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তাঁরও প্রশ্ন, “তাই যদি হতো, তবে আর সংশোধনী বা নতুন ধারা কেন সংযোজিত হবে!”