India & World UpdatesHappeningsBreaking News
বাড়ি ফিরলেন ইমরান খান
ওয়েটুবরাক, ১৪ মে : পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান লাহোরে নিজ বাসভবনে ফিরেছেন। তাঁর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে নানা নাটকীয়তার পর শনিবার সড়কপথে জামান পার্কের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। ইসলামাবাদ থেকে লাহোরের উদ্দেশে রওনা করার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি ফেরা নিয়েও পুলিশ নাটক করেছে। ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক তাঁকে লাহোরে ফিরতে বাধা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বাইরে যাওয়াটা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে উল্লেখ করে ইমরান খানকে তিন ঘণ্টা আদালত ভবনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল৷
ইমরান বলেন, ‘তাঁকে (পুলিশের মহাপরিদর্শক) বোঝালাম, আমাদের জোর করে আটকে রাখা এবং অপহরণ করার মতো যে কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, সে সম্পর্কে পাকিস্তানের মানুষকে জানানো হবে। এ কথা বলার পর আমরা সেখান থেকে মুক্তি পেলাম।’
ইমরান খানকে ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে তাঁর দল পিটিআই। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ মে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তার ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ৯ মে পর্যন্ত করা কোনও মামলায় ইমরান খানকে ১৭ মে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে আদেশ দেয় আদালত।
নিজের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ‘অপহরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, এর পেছনে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের হাত রয়েছে। এই কারণে সেনাপ্রধানের তীব্র সমালোচনা করেছেন পিটিআই প্রধান।
জামিন পাওয়ার পর আদালতকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলেন ইমরান খান। তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। ইমরান খান বলেন, ‘এর (গ্রেপ্তার) পেছনে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নয়, বরং একজন ব্যক্তি জড়িত। তিনি সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই। যা ঘটেছে, তাতে সেনাবাহিনী অপমানিত হয়েছে।’
ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে তিনি (সেনাপ্রধান আসিম মুনির) উদ্বেগে রয়েছেন। তিনি ভাবছেন, আমি ক্ষমতায় ফিরলে তিনি তাঁর ক্ষমতা হারাবেন। আমি এ ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেব না।’