Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বাড়িতে করোনা, বৃদ্ধার মৃতদেহের সৎকার করলেন সরকারের আপাদমিত্র-রা
১১ জুলাইঃ বাড়িতে তিনজন করোনায় আক্রান্ত। কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা। কে তাঁর মৃতদেহের সৎকার করবেন, সমস্যায় পড়েন নরসিংপুর দ্বিতীয় খণ্ডের জনতা। এগিয়ে আসেন ‘আপাদমিত্র’ স্বেচ্ছাসেবকরা। ধর্ম-বর্ণ দেখতে চাননি, কর্তব্য সম্পাদনে পিপিই কিট পরে কন্টেনমেন্ট জোনে ঢোকেন নজমুদ্দিন চৌধুরী, সহিদ আহমেদ চৌধুরী ও রসিদ আহমেদ চৌধুরী। তাঁরাই বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
সোনাইর দুর্যোগ মোকাবিলা শাখার ফিল্ড অফিসার বিপ্রজিত পালচৌধুরী জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর শান্তিবালা নাথ ভাইয়ের পরিবারে থাকতেন। কিন্তু দুদিন আগে ওই পরিবারের তিন সদস্য দীনেশ নাথ, প্রমেশ নাথ ও দেবাঙ্গী নাথ করোনায় আক্রান্ত হন। সবাইকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। ওই বাড়ি এবং লাগোয়া ডান-বামের বাড়িকে কন্টেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শান্তিদেবী মারা যান। এ বার তাঁর মৃতদেহের সৎকার কী করে হবে! করোনায় আক্রান্ত বাড়িতে প্রতিবেশীরা যেতে চাইছেন না।
ডান ও বামদিকের বাড়ির মানুষ কন্টেনমেন্ট জোন থেকে মৃতদেহ নিয়ে বেরোতে পারছেন না। শেষে দুর্যোগ মোকাবিলা শাখা আপাদমিত্র-দের ডাকে। গত বছরই কাছাড় জেলার একশোজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, বিভিন্ন বিপদ-আপদে কী করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। সোনাইয়ে রয়েছেন দশজন। তাঁদেরই তিনজনকে ডাকা হয় শান্তিবালা নাথের শেষকৃত্যে। পিপিই কিট পরিয়ে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে নিয়ে আসা হয় শান্তিদেবীর ভাইপোকে৷ ধর্মীয় রীতিনীতি পালন তিনিই করেন৷ এর আগে মৃতার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিপ্রজিতবাবুর কাছে স্বস্তির কথা, এখন রিপোর্ট পজিটিভ এলেও বাড়তি কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না। কারণ মৃতদেহের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, সবাই ছিলেন পিপিই কিট পরা।