Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News

বাংলা সাহিত্য সভা অসম ও ডেফোডিলস স্কুলের যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন

ওয়েটুবরাক, ১০ মে : বাংলা সাহিত্য সভা অসমের শিলচর শাখা ও ডেফোডিলস স্কুলের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সাড়ম্বরে ১৬২তম রবীন্দ্র জন্ম-জয়ন্তী পালিত হল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

সকালে প্রদীপ প্রজ্জলন ও রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কবিপ্রণাম। উদ্বোধনী পর্বে ডেফোডিলস স্কুলের ছাত্রীরা সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করে, ‘হে নূতন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’। ডেফোডিলস স্কুলের অধ্যক্ষ সুব্রত দে-র পৌরহিত্যে আয়োজিত কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বরিষ্ঠ অধ্যাপক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের সঞ্চালক নিরঞ্জন রায়।

অধ্যাপক রায় সমাজ ও দেশের অর্থনীতিতে রবীন্দ্র দর্শনের প্রভাব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিত্রকর, শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র এবং জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার  বিচারক বিমলেন্দু সিনহা। এর আগে স্কুলের অধ্যক্ষ সুব্রত দে তাঁর বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানান৷ প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন সম্মানিত অতিথি বাসুদেব শর্মা এবং বাংলা সাহিত্য সভা অসম শিলচর শাখার সভাপতি সমর বিজয় চক্রবর্তী৷ অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আর এক বিচারক মনিকা পাল।

অনুষ্ঠানে পরপর রবীন্দ্র সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও এতে অংশ নেন আমন্ত্রিত শিল্পীরা। একক কবিতা আবৃত্তিতে ছিল শিশুশিল্পী অধিরাজ পাল। অঙ্কিতা সর্দারও চমৎকার আবৃত্তি করে । একক নৃত্যে ছিল রচয়িত্রী সেন, সোমদত্তা দাস ও তানিশা চক্রবর্তী। দ্বৈত রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করে শুভাঙ্গনা বোস ও সোনাক্ষী পাল। এছাড়া ছিল ডেফোডিলস স্কুলের ছাত্রীদের সমবেত নৃত্য। ছিল স্কুলছাত্রীদের সমবেত রবীন্দ্র সংগীত, ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও’। অনুষ্ঠান চলাকালে লাইভ পেইন্টিং করে রবীন্দ্র প্রতিকৃতি সৃষ্টি করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসুয়াল আর্ট বিভাগের ছাত্র রাজ সরকার। রবীন্দ্র গানের মেডলি সহ স্কুলছাত্রীরা পরিবেশন করে সমবেত রবীন্দ্র সংগীত। পাশাপাশি ছিল একক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেয় স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য । সংগীত শিক্ষিকা দেবশ্রী দত্ত রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন। আমন্ত্রিত শিল্পী সর্বাণী ভট্টাচার্য, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’ দিয়ে অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করেন। বাংলা সাহিত্য সভা অসম রাজ্য সমিতির যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক তথা শিল্পী বিক্রমজিৎ বাউলিয়াও একক সংগীত পরিবেশন করেন। এদিন সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা সহ রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি করে শোনান আবৃত্তিকার অনির্বাণ জ্যোতি গুপ্ত।


অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রবিবার ৭ মে আয়োজিত পীযূষ চৌধুরি স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় ।
বাংলা সাহিত্য সভা অসম-এর যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপন দত্ত পুরকায়স্থের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় রবীন্দ্র স্মরণানুষ্ঠান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker