NE UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
বাংলাদেশের জমি দখল করে বাংলাদেশিদের জন্য শিবির গড়ার পরামর্শ তোগাড়িয়ার
ওয়েটুবরাক, ৬ এপ্রিল: ১৯৫১ সালের ভিত্তিবর্ষের ভিত্তিতে নতুন করে এনআরসি তৈরি করার দাবি জানালেন আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রাজ্যের হাজার একর জমি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে উদ্ধার করায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে ধন্যবাদ জানান।
পাশাপাশি বলেন, বর্তমান অশুদ্ধ এনআরসির বদলে নতুন এনআরসি তৈরি করে বাংলাদেশিদের বিতাড়ন না করলে কাশ্মীর ফাইলসের মতোই ভবিষ্যতে অসম ফাইলস সিনেমা তৈরি করতে হবে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অসমে থাকা ৫০ লক্ষ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করে ট্রানজ়িট শিবিরে পাঠানোর দাবি তুললেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তাঁর আরও দাবি, বাংলাদেশ তাদের ফেরত না নিলে বাংলাদেশের জমি অধিকার করে সেখানে শিবির বানিয়ে বিদেশি নাগরিকদের রাখার ব্যবস্থা করুক ভারত সরকার।
অসম চুক্তি অনুযায়ী অসমে বাংলাদেশি শনাক্তকরণের ভিত্তিবর্ষ ১৯৭১ সাল। সেই ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে এনআরসি। তোগাড়িয়ার মতে, গোটা দেশে যখন ভিত্তিবর্ষ ১৯৫১, তখন সেই সংবিধান স্বীকৃত ভিত্তিবর্ষ মেনেই অসমেও এনআরসি হওয়া দরকার। তাঁর কথায়, “যদি বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে সমস্যা হয়, তবে ডিএনএ হোক। আমি নিজে চিকিৎসক। আমি নিশ্চিত, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অসমের মুসলিম ও বহিরাগত মুসলিমকে সহজেই তফাৎ করা সম্ভব।”
এনআরসিতে মাত্র ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তোগাড়িয়ার মতে, “রাজ্যে অবৈধ নাগরিকের সংখ্যা ৫০ লক্ষ। তাঁদের খুঁজে বের করে আইসলেশন শিবিরে রাখা হোক। তারপর তাদের বিতাড়নের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। যদি বাংলাদেশ সরকার তাদের ফিরিয়ে না নেয়, তবে ভারত বাংলাদেশের একাংশ দখল করে সেখানে বাংলাদেশিদের রাখার ব্যবস্থা করুক।”
তোগাড়িয়া আরও বলেন, ভারতে বর্তমানে জিডিপি বাড়লেও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। দেশে দরিদ্ররা বেশি করে গরিব এবং ধনীরা ক্রমেই সম্পদশালী হচ্ছেন। সরকারের কাছে ১ কোটি চাকরি রয়েছে। তা দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, সব ই-শ্রম কার্ডধারীর অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ হাজার টাকা পাঠাক কেন্দ্র।
দারিদ্র্য ও বেকারত্ব ঘোচাতে দেশজুড়ে ‘জাতীয় স্বনিয়োজন ফোরাম’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন তোগাড়িয়া। জানান, এই প্রকল্পে দেশের হাজারটি স্থানে মোট ১০ হাজার যুবক ও যুবতীকে কর্মসংস্থান দেওয়া হবে। অসম থেকে তিনি ফুলাম গামোসা ও গামোসায় তৈরির পোশাক নিয়ে যাচ্ছেন। সেই পোশাক সারা দেশে সরবরাহ করার ব্যবস্থা হবে। রাজ্যের ১০০টি এলাকায় হাজার জনকে সেই পোশাক তৈরির কাজে লাগানো হবে। পোশাক বিক্রির ব্যবস্থা হবে অনলাইনে। কুরিয়ারের খরচ বাদে পুরো লভ্যাংশ উৎপাদকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।