Barak UpdatesHappeningsSportsBreaking News
বাংলাদেশকে হারিয়ে চারে চার ভারত
ওয়েটুবরাক, ১৯ অক্টোবরঃ চারে চার করে ফেলল ভারত। রবিবারে নিউ জ়িল্যান্ডের মুখোমুখি। এ বারের বিশ্বকাপে এরাও এ পর্যন্ত আর এক অপরাজেয় দল।
রোহিত শর্মা টসে হেরে গেলেও বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম দিকে প্রায় কুঁকড়ে ছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান। প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র দশ রান ওঠে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভার থেকে খেলা বাংলাদেশের দিকে ঘুরতে থাকে। সিরাজকে দু’টি চার মারার পরেই ছন্দ খুঁজে পান লিটন। পরের পাঁচ ওভারে ৫৩ রান। অর্থাৎ প্রতি ওভারে দশের উপর।
তৃতীয় বলে লিটনের একটি স্ট্রেট ড্রাইভ বাঁচাতে গিয়ে গোড়ালি ঘুরে যায় হার্দিক পাণ্ড্যের। মাঠেই দীর্ঘ ক্ষণ চিকিৎসা চলে। এর পরও খোঁড়াতে থাকেন হার্দিক। পরে ভারতীয় বোর্ড জানায়, তাঁকে স্ক্যানের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই ফিল্ডিং করতে পারবেন না। হার্দিকের ওভারের বাকি তিনটি বল করেন বিরাট কোহলি। পরিবর্ত ফিল্ডার হিসাবে নামেন সূর্যকুমার যাদব।
১৪ ওভারে জলপানের বিরতি ভারতের কাছে শাপে বর হয়ে গেল। সবে অর্ধশতরান পাওয়া তানজিদ হাঁটু মুড়ে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস্ করেন। ডিআরএস নেওয়ার চেষ্টাই করেননি। দ্বিতীয় উইকেট পাওয়ার জন্যেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ২০তম ওভারে রবীন্দ্র জাডেজার বলে এলবিডব্লিউ হন এ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
লিটনকেও ফেরালেন জাডেজা। শুভমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। পরের দিকে মুশফিকুর এবং মাহমুদুল্লা বাংলাদেশের ভদ্রস্থ স্কোর তুলতে সাহায্য করেন। শেষের দিকে মাহমুদুল্লা চালিয়ে না খেললে বাংলাদেশের রান আড়াইশো পেরনোই মুশকিল হত।
ভারত এ দিন অসাধারণ ফিল্ডিং করল। তাসকিন আহমেদ না থাকায় এমনিতেই বাংলাদেশের বোলিং কিছুটা দুর্বল ছিল। তার উপর পুণের পাটা পিচে বাংলাদেশের বোলারদের খেলতে কোনও অসুবিধাই হয়নি ভারতের। বল পিচে পড়ে সহজেই ব্যাটে আসছিল। তাই রোহিত এবং শুভমন সেগুলিকে বাউন্ডারিতে পাঠাচ্ছিলেন। ৭টি চার এবং ২টি ছয় মেরে বাংলাদেশের বোলারদের উপর দাপট দেখানোর পর ফিরে যান রোহিত। ব্যক্তিগত ৪৮ রানের মাথায় হাসান মাহমুদের একটি শর্ট বল পুল করেছিলেন। টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। ডিপ ফাইন লেগে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন। তিনে নেমে কোহলি জুটি গড়েন শুভমনের সঙ্গে। পাকিস্তান ম্যাচে ১৬ রানে আউট হওয়ার পর এই ম্যাচে শুভমনকে বিন্দুমাত্র চিন্তিত দেখায়নি। অনায়াসে খেলছিলেন বাংলাদেশি বোলারদের। ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করার পরে হঠাৎই অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ফিরে যান। মেহেদির বলে তুলে মারতে গিয়েছিলেন। বাউন্ডারির ধারে নিপুণ ভাবে ক্যাচ ধরেন মাহমুদুল্লা।
সহজ উইকেটে ভারতকে এর পর চিন্তার মধ্যে পড়তে হয়নি। শুভমনের পরে কোহলির সঙ্গে যোগ দেন শ্রেয়স। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক স্বচ্ছন্দে খেলে গেলেও চিন্তা থাকল শ্রেয়সকে নিয়ে। এই ম্যাচে তাঁর মাথার উপরে কোনও চাপ ছিল না। খুচরো রান নিলেই হত। সে ভাবেই খেলছিলেন। অকারণে মারতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল তিনি ফর্মে ফিরেছেন, তখনই একটা খারাপ ইনিংস খেলে নিজেকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন।