NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
বরপেটার এনআরসি শহিদদেরও স্মরণ করল সিআরপিসিসি
ওয়েটুবরাক, ২১ জুলাই : নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম এর পক্ষ থেকে ১৯৮৬ সালে আজকের মত দিনে সেবা সার্কুলার প্রত্যাহার করার দাবিতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে শহিদ জগন্ময় দেব, দিব্যেন্দু দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ একই তারিখে ২০১০ সালে বরপেটায় ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে রুখে দিতে এনআরসি’র তথাকথিত পাইলট প্রজেক্ট বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে শহিদ মাজম আলি, মাইদুল ইসলাম মোল্লা, সিরাজুল হক এবং মতলেব আলিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তাঁরা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের মৃত্যু গোটা রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির মদতে পরিচালিত আসাম সরকার রাজ্যের ভাষিক সংখ্যালঘুদের মাতৃভাষার মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত স্বরূপ ১৯৬০ সালে যে কুখ্যাত ভাষা আইন তৈরি করেছিল তারই ধারাবাহিকতায় এনআরসি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার সেই চক্রান্তকে আরও তীব্র রূপ দিতে তৎপর রয়েছে এবং নিরপরাধ সাধারণ নাগরিকদের অন্ধ জাতিবিদ্বেষ ও ধর্মীয় বিদ্বেষের বলি হতে হচ্ছে। তিনি এও বলেন, ১৯৬১ সালের ১৯ মে, ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট ও ১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই মাতৃভাষা আন্দোলনের যেমন গৌরবোজ্জ্বল দিন তেমনি ২০১০ সালের ২১ জুলাই এনআরসি’র তালিকা তৈরির নামে ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে প্রতিহত করারও একটি ঐতিহাসিক দিন। বরপেটার চারজন আন্দোলনকারীর আত্মবলিদান এনআরসি প্রক্রিয়াকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছিল। তাদের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে গোটা দেশের জনগণ জানতে পেরেছিল এনআরসি’র ভয়াবহতা সম্পর্কে। সিআরপিসিসি, আসাম আসাম সরকারের চরম সাম্প্রদায়িক ও উগ্র প্রাদেশিকতাবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনগণকে আহ্বান জানায়।