Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বন্যা আতঙ্কের মধ্যেই শিলচরে উনিশ স্মরণ
১৯ মে ঃ বন্যাতঙ্কের মধ্যেই উনিশের ভাষা শহিদদের স্মরণ করল শিলচর। সকাল সকাল বৃষ্টি না হলেও শহরের আশপাশ বন্যার জলে ডুবে থাকায় অনেকেই আসতে পারেননি। তার উপর খুব বেশি প্রয়োজন না হলে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার যে বার্তা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে, তার জন্যও এ দিন বিভিন্ন স্থানে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে শিলচর রেলস্টেশনের শহিদ বেদিতে খুব কম সংখ্যকই ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। দু-একটি স্কুল ও সংগঠন এ দিন শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেছে। বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি। স্টেশন চত্বরেই ভাষা শহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি আয়োজিত সভায়ও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ও জেলাশাসক। এ ছাড়াও ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি শেখর দেবরায়, কংগ্রেসের উপ সভাপতি শরিফুজ্জামান লস্কর, শিলচর পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার আশুতোষ ডেকা, বরাক বঙ্গের আঞ্চলিক সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার সাহা ও শহিদ স্মরণ সমিতির সভাপতি বাবুল হোড়।
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক বলেন, এই শহরটাকে মর্যাদার সঙ্গে গঠন করা যায়। কারণ গুগলে গিয়ে শিলচর মারলেই আইডেনটিটি হিসেবে শহিদের স্মারকটি বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, এভাবে আমাদের শহর যত গর্বের হয়ে উঠবে, ততই এই শহর মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে। বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী এ দিন ভাষা শহিদ স্মরণ সমিতির নেওয়া শহিদ বীরেন্দ্র সূত্রধরের পরিবারের আবাসস্থল সংস্কারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তিনি এর খরচ বাবদ তাঁর বেতন থেকে ৫০ হাজার টাকা সমিতির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, শিলচর স্টেশনের নাম ভাষা শহিদ স্টেশন করার দাবি আদায়ে সব ভাষাগোষ্ঠীকে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা কাটাতে সম্মিলিত আওয়াজ উঠুক। তিনি এখানে একট বাংলা ভাষা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারেও পোষকতা করেন।
উনিশের মের সকালে শিলচর রেল স্টেশনে অন্যবারের মতো এ বার আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। তবে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে আর্য সংস্কৃতি বোধনী সমিতি। এ দিন সকালে শ্মশানঘাটে উপস্থিতি মন্দ ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের সদস্যরা ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল করে আসেন। তারা নিজেদের মতো করে গান, আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন। শ্মশানঘাটেও এ দিন শহিদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান বিধায়ক ও জেলাশাসক ছাড়াও সাংসদ রাজদীপ রায়।