Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ফেল বলে স্কুল বন্ধ! সিদ্ধান্ত বদলের দাবিতে আন্দোলনে এআইডিএসও
১৬ জুন: রাজ্যে ১৭টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামল এআইডিএসও । মঙ্গলবার শিলচরে কাছাড় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবিতে স্মারকলিপি পাঠানো হয়৷ জেলাশাসক মারফত প্রেরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেট্রিক পরীক্ষায় শূন্য উত্তীর্ণের অজুহাত দেখিয়ে ১৭টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আসলে শিক্ষা সংকোচন নীতির বাস্তবায়ন ।
রাজ্যের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নেই৷ ২০০৯ সালে শিক্ষা অধিকার আইন এনে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে৷ বহু স্কুলে রয়েছে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব । এই সব সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কোনও অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপ হতে পারে না । স্মারকপত্রে এও উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি গড়ে উঠেছিল জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দানে । বহু শিক্ষক এইসব স্কুলে বছরের পর বছর বিনা বেতনে চাকরি করে গেছেন শুধু শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনে ।
কাছাড়ের যে দুটি স্কুল এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে চলেছে তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের । এর মধ্যে একটি রাজ্যের ভাষিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মণিপুুুরি মাধ্যমের এবং অন্যটি পাঁচটি চা বাগানের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা করার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এ ছাড়াও ডিমা হাসাও জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার পাঁচটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়াকে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ মেনে নিতে পারছেন না । কারণ এইসব স্কুল বন্ধ হওয়া মানে সে অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়া । এআইডিএসওর আসাম রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠনের কর্মীরা অনলাইনে পোস্টার হাতে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে । শিলচরে এ দিনের কার্যসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক গৌরচন্দ্র দাস, কোষাধ্যক্ষ পল্লব ভট্টাচার্য , আপনলাল দাস প্রমুখ ।