India & World UpdatesHappeningsBreaking News

ফের সলমন খানকে খুনের হুমকি বিশ্নোই গ্যাঙের

ওয়েটুবরাক, ১৫ অক্টোবর : মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী)-র নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে ফের প্রকাশ্যে এসেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের নাম। খুনের দায় স্বীকার করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছে কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীর দল। শুধু তা-ই নয়, বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে আরও এক বার খুনের হুমকি দিয়েছে বিশ্নোই গ্যাং।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (ন্যাশনাল ইনভেস্টটিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ) চার্জশিট অনুযায়ী, বিশ্নোই গ্যাংয়ে রয়েছে ৭০০ শুটার। সুপারি কিলিংয়ে (টাকা নিয়ে খুন) যারা সিদ্ধহস্ত। এই ভাড়াটে খুনির দল সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে রয়েছে পঞ্জাবে। সেখানে বিশ্নোই গ্যাংয়ের ৩০০ শুটার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বলে দাবি এনআইয়ের গোয়েন্দাদের।

বর্তমানে অন্তত ১১টি রাজ্যের পুলিশের খাতায় বিশ্নোইয়ের নাম রয়েছে। যার মধ্যে পঞ্জাব ছাড়াও রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ড।

বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর বিশ্নোই গ্যাং সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছে, ‘‘আমাদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। তবে দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং ও সলমন খানকে সাহায্য করলে কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না। যাঁরা সাহায্য করছেন তাঁরা সমস্ত হিসাব ঠিক রাখুন।’’

কেন বার বার সলমন খানকে খুনের হুমকি দিচ্ছে বিশ্নোই গ্যাং? এর নেপথ্যে রয়েছে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং করতে যান সলমন খান। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনায় বিশ্নোই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লাগে। কারণ কৃষ্ণসার হরিণকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করেন তাঁরা। ২০১৮ সালে গ্রেফতারির পর আদালতে দাঁড়িয়ে লরেন্স বিশ্নোই হুমকির সুরে বলেছিলেন, ‘‘জোধপুরে আমরা সলমন খানকে হত্যা করব। আমরা ব্যবস্থা নিলেই সবাই জানতে পারবে। আমি এখনও পর্যন্ত কিছুই করিনি। ওরা বিনা কারণে আমার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ এনেছে।’’

২০১৮ সালে সম্পথ নেহরা নামের এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ব্যক্তি সলমনকে খুনের জন্য তাঁর বাড়ি রেকি করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্নোইয়ের নির্দেশেই নেহরা ওখানে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তদন্তকারীরা।

২০২৩-এর ১৪ এপ্রিল সলমনের বান্দ্রার বাড়ির সামনে বাইকে করে এসে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। তবে তাতে অবশ্য অভিনেতার কোনও ক্ষতি হয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গেও বিশ্নোই গ্যাং জড়িত ছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।

গত বছরের নভেম্বরে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে পঞ্জাবি গায়ক গিপ্পি গ্রেওয়ালের বাড়িতে গুলি চলে। এই ঘটনার নেপথ্যে বিশ্নোই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

বিশ্নোই গ্যাং জানিয়েছিল, সলমনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন গিপ্পি। অভিনেতার সঙ্গে ভাইয়ের মতো আচরণ করছেন তিনি। যদিও পঞ্জাবি গায়কের দাবি, তিনি মাত্র দু’বার ‘ভাইজান’-এর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কোনও সম্পর্ক নেই।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভ্যাঙ্কুভারে আর এক পঞ্জাবি গায়ক এপি ধিঁলোর বাড়ির সামনে গুলি চলে। যার দায় স্বীকার করেন বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ধিঁলোর ‘ওল্ড মানি’ গানের অ্যালবামে সলমনকে দেখা গিয়েছে। আর তাই তাঁর নাম তালিকায় চলে এসেছিল।’’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker