Barak UpdatesHappenings
ফাটকবাজার বন্ধ থাকায় দাম বাড়ছে, জেলা প্রশাসনকে স্মারকপত্র
৩০ মেঃ ভিড় বাড়ছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই ছিল না। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। যেমন ক্রেতা, তেমনি বিক্রেতা। করোনার গণসংক্রমণের আশঙ্কায় ফাটকবাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি প্রশাসন। তাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। খুচরো বিক্রেতারা চাহিদা মত সামগ্রী পাচ্ছেন না।
জেলাশাসক কীর্তি জল্লির সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানায় শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটি। সভাপতি প্রদীপকুমার দে-র নেতৃ্ত্বে এক প্রতিনিধি দল শনিবার বেশ কিছু ইস্যুতে জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় ফাটকবাজার বন্ধ রাখার বিষয়ে। তাঁরা বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা করা গেলে ফাটকবাজার বন্ধ থাকলেও সমস্যা হতো না। কিন্তু করা যায়নি বলে খুচরো বিক্রেতারা মুশকিলে। বাজারে নানা জিনিসের অভাব শুরু হয়েছে। ফাটকাবাজি বাড়ছে। বাড়ছে কালোবাজারি। ফলে বাজারের রীতি অনুসারেই মৃল্যবৃদ্ধি ঘটছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক সঞ্জীব রায়, অমিতাভ সেন, সীমান্ত ভট্টাচার্য ও অভিজিত পাল।
তাঁরা জিরিবামে যেতে কাছাড়ের মানুষদের বাধাদানের ব্যাপারেও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। বন্যার ব্যাপারেও কংগ্রেস নেতারা তাঁকে সতর্ক করে দেন। অবিলম্বে বাঁধের দুর্বল জায়গাগুলি মেরামতির অনুরোধ করেন তাঁরা।
কংগ্রেস প্রতিনিধিদলটি পরে পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়ের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন। তাঁরা লকডাউন, কার্ফুর মধ্যেও যে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন।
এ দিকে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সক্রিয়পন্থী প্রবীণ নাগরিক মঞ্চও। সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার দে চিঠি লিখে জেলাশাসককে জানান, চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, রসুন, মসলা ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম হঠাত করে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়ে চলেছে। এই মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ বড় অসহায় অবস্থায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লুটার সুযোগ পাচ্ছে। খুচরো বিক্রেতারাও নাজেহাল। জিনিসপত্রের সঙ্কট দূর করে ন্যায্যমূল্যে সামগ্রী সরবরাহে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক। এ সম্ভব না হলে ফাটকবাজার খুলে দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রাক্তন কর্মচারী নেতা জ্যোতিরিন্দ্র দে-ও। তিনি বলেন, বিষয়টি সাধারণ জনতার উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে।