Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্ৰণবানন্দ বিদ্যামন্দিরে তিনদিনের কৰ্মশালা নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের
প্ৰতিযোগিতার দৌড়ে যোগ চৰ্চাই চাপমুক্ত থাকার ইন্ধন : প্ৰতিমা
ওয়ে টু বরাক, ২৭ ডিসেম্বর : ‘ডেইলি যোগ প্ৰ্যাকটিসেস ফর স্টুডেন্টস (ডিওয়াইপিএস)’ কৰ্মশালা আয়োজিত হল শিলচর তারাপুর শিববাড়ি রোডের প্ৰণবানন্দ বিদ্যামন্দিরে। পরিচালনায় ছিল শিলচর ‘নিরাময়’ যোগ শিক্ষা সংস্থান। তিনদিনের এই কৰ্মশালা চলে ২৫-২৭ ডিসেম্বর পৰ্যন্ত৷ এতে প্ৰচুর পড়ুয়া অংশ নেন। বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অভিভাবকদেরও অংশগ্ৰহণ ছিল এই যোগ কৰ্মশালায়।
বৈদিক মন্ত্ৰোচ্চারণ, শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে ২৫ ডিসেম্বর প্ৰণবামন্দির বিদ্যামন্দির ক্যাম্পাসে উদ্বোধন হয় ‘ডিওয়াইপিএস’ কৰ্মশালার। নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের পদাধিকারী, মাস্টার ট্ৰেনার, ট্ৰেনার, ডেমনস্ট্ৰেটররা ছিলেন প্ৰশিক্ষণ পরিচালনার দায়িত্বে। নিজেদের ব্যস্ততম ছাত্ৰজীবনে ৩০-৪০ মিনিটের যোগ প্ৰক্রিয়া অনুশীলন শারীরিক-মানসিকভাবে কীভাবে পড়ুয়াদের স্বতঃস্ফূৰ্ত রাখতে পারে, হাতে কলমে কাৰ্যত এই প্ৰশিক্ষণই দেওয়া হয় কৰ্মশালার তিনদিনে। যম, নিয়ম, আসন, প্ৰাণায়াম সহ অষ্টাঙ্গ যোগের বিভিন্ন ধাপকে খুব সহজভাবে পড়ুয়ারা কীভাবে তাঁদের রোজকার জীবনে নিয়ে চলতে পারে, তাও বুঝিয়ে দেন নিরাময়ের পদাধিকারীরা।
বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষা প্ৰতিমা চক্রবৰ্তী বলেন, নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থান-এর সঙ্গে মিলে বহু প্ৰতীক্ষিত যোগ কৰ্মশালা এক আনন্দঘন পরিবেশে শেষ হয়েছে। প্ৰতিষ্ঠানের শিক্ষক-অশিক্ষক কৰ্মচারীরা অনুষ্ঠানের সফলতায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনদিনে পড়ুয়ারা যে সমৃদ্ধ হয়েছে তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। যোগ চৰ্চা নিয়ে চাহিদা বেড়েছে তাদের মধ্যে। খামতি ছিল না উৎসাহ-উদ্দীপনায়ও। ছাত্ৰছাত্ৰীদের ব্যাপক সাড়া তা বুঝিয়ে দিয়েছে। এমন প্ৰশিক্ষণ যাতে রোজ হয় স্কুলে, এমন অনুরোধও করেছে তারা।
প্ৰতিমা চক্রবৰ্তীর কথায়, যোগ চৰ্চা সাধারণত আমাদের মধ্যে আসন, কিছুটা শ্বাস ক্রিয়া এ সবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্ত সঠিক অৰ্থে যে এমনটা মোটেই নয়, তা এই কৰ্মশালায় বোঝা গেছে। তাছাড়া, রোজকার দিনলিপিতে যোগ আমাদের সঙ্গে মিশে রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি অনেক ক্ষেত্ৰেই আমরা বুঝতে পারি না, অভ্যাসে পরিণত করি না। খুব সংক্ষিপ্তভাবে হলে এই দিকগুলোর জানান দিয়েছেন নিরাময়-এর পদাধিকারীরা। এককথায়, প্ৰতিদিনের জীবন চৰ্চায় যোগ প্ৰক্রিয়াকে সঙ্গী করতে হবে পড়ুয়াদের।
অধ্যক্ষার আরও বক্তব্য, এখন প্ৰতিযোগিতার দৌড়ে রয়েছে ছাত্ৰছাত্ৰীরা। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হয়। আর এ সব পেছনে ফেলে এগোতে হলে মন-শরীর দুই দিকেই স্বস্তি থাকতে হবে। হতে হবে শক্তিশালী। এই ক্ষেত্ৰে নিয়মিত যোগ চৰ্চাই চাপমুক্ত ও আনন্দে থাকার ইন্ধন জোগাতে সক্ষম। আগামী দিনগুলোতে নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের সঙ্গে মিলে আরও এমন আয়োজন করা হবে বলেও স্পষ্ট করেছেন অধ্যক্ষা প্ৰতিমা।
এদিকে, শুক্রবার সৎসঙ্গ, গীতা পাঠ, পতঞ্জলি স্তোত্ৰ, শান্তি মন্ত্ৰের মাধ্যমে শেষ হয় কৰ্মশালা। পরে প্ৰণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের পক্ষে ‘নিরাময়’ যোগ শিক্ষা সংস্থানকে ‘ফিডব্যাক লেটার’ তুলে দেন অধ্যক্ষা। প্ৰতিদিন যোগ অনুশীলনের সংকল্প পাঠ করানো হয় পড়ুয়াদের।