NE UpdatesHappeningsBreaking News

প্রচার শেষ, ভোটের জন্য প্রস্তুত মেঘালয়-নাগাল্যান্ড

ওয়েটুবরাক, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মেঘালয়ে বুথের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার ফ্রেডরিক এম খারকোংগর। তিনি নির্দেশ জারি করেছেন, শুধুমাত্র পর্যবেক্ষক, মুখ্য ও জেলা নির্বাচনী অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, মাইক্রো অবজারভার এবং নিরাপত্তাকর্মীরা সঙ্গে মোবাইল রাখতে পারবেন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংবাদকর্মীরা সঙ্গে মোবাইল রাখতে পারলেও বুথের ভিতরের বা ভোটগ্রহণের ছবি ও ভিডিয়ো সংগ্রহ করতে পারবেন না। ফ্রেডরিক বলেন, “কিছু অসাধু ভোটার ও রাজনৈতিক দলের একাংশ কর্মী অনৈতিকভাবে ভোট দেওয়ার ছবি তুলে তা ভোটের বিনিময়ে টাকা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করে। তা রুখতেই এই ব্যবস্থা কড়া ভাবে প্রয়োগ করা হবে।” শনিবার বিকেল থেকে প্রচারপর্ব শেষ হয়েছে। মেঘালয়ে সোহিয়ং কেন্দ্রে এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোট স্থগিত হয়েছে। ফলে ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫৯টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ হবে। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩৬৯। তার মধ্যে মহিলা প্রার্থী ৩৬ জন। নাগাল্যান্ডের ৬০টি কেন্দ্রে মোট প্রার্থী ১৮৩ জন। তাঁদের মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৪। সে’দিক থেকে এ বারের ফল ঐতিহাসিক হতে চলেছে, কারণ বিজেপি-এনডিপিপির ৩ মহিলা প্রার্থীর মধ্যে এক বা একাধিক মহিলার জয় প্রায় নিশ্চিত। তেমন হলে ১৯৬৩ সালে পূর্ণ রাজ্য হওয়ার পরে এই প্রথম মহিলা বিধায়ক পাবে নাগাল্যান্ড। নেডা জোটের প্রধান তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা নাগাল্যান্ডে সেই তথ্যকেই ভোট প্রচারের বড় হাতিয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, “৬ দশক পরে প্রথমবার রাজ্যে মহিলা প্রার্থী দিয়ে ও মহিলাদের বিধায়ক হওয়ার রাস্তা করে দিয়ে ইতিহাস গড়তে চলেছে বিজেপি-এনডিপিপি জোট।”

সরকার গড়ার দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার মেঘালয়ে পরিবর্তনের স্বপক্ষে ২ মিনিটের ভিডিয়ো প্রকাশ করল। সেখানে মহিলা, যুবা ও কৃষকদের বিভিন্ন চিন্তা, অপ্রাপ্তি ও চাহিদাকে তুলে ধরা হয়। বলা হয়, রাজ্যের ৯ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, গ্রামের ৪২ শতাংশ ও শহরের ২০ শতাংশ যুবা বেকার। কৃষি শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়।

সেই সঙ্গে পশ্চিম গারো পাহাড়ের টিকরিকিলার জনসভায় দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করলেন, এনপিপি আসলে বিজেপির পদ্মেরই একটা পাপড়ি। দুই দলই রাজ্যের মানুষের পক্ষে অ্যাসিডের মতোই ক্ষতিকর।
শুক্রবার তুরা ও শিলংয়ের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন উদাহরণ তুলে বলেছেন, বিজেপির কাছে সব ধর্ম সমান। বিজেপি জনজাতি কল্যাণে বদ্ধপরিকর৷ তাই বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে পাঁচ গুণ। শনিবার পাল্টা বক্তব্যে মহুয়া বলেন, বিজেপি গোটা দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চাইছে। তারা সংখ্যালঘু বিরোধী। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো দুর্বল করার জন্য দায়ী বিজেপি। রাজ্যের সর্বস্তরের অনুন্নয়নের জন্য এনপিপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে দায়ী করেন মহুয়া।
দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং রাজ্য সহ-সভাপতি জর্জ বি লিংডো বলেন, ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে তৃণমূল বেকার ও মহিলাদের জন্য মাসে হাজার টাকা ভাতা ও কৃষকদের জন্য বার্ষিক ১০ হাজার টাকা সাহায্যের প্রকল্প চালু করে দেবে। ডেরেক বলেন, “মাত্র কয়েক মাসে তৃণমূল রাজ্যে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তা অভাবনীয়। তৃণমূল তাদের ১০টি প্রতিজ্ঞা পূরণে বদ্ধপরিকর। আর ৪৮ ঘণ্টা পরেই মানুষের হাতে দিন বদলের সেই সুযোগ আসবে। এনপিপিকে ভোট দেওয়া মানেই বিজেপিকে জেতানো। আশা করি, গত ৫ বছরে কেলেঙ্কারি-জর্জরিত মানুষ ফের একই ভুল করবেন না।”

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker