Barak UpdatesHappenings
পুরনো ফর্মে গৌতম রায়, সঙ্গে অন্য ছয়জন, জমা দিলেন মনোনয়ন
ওয়েটুবরাক, ১১ মার্চঃ দীর্ঘদিন পর পুরনো ফর্ম ফিরে পেলেন কাটিগড়ার বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায়। দলত্যাগের পর কাছাড়ের কয়েকটি সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সামনের সারিতে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, প্রথম তরুণ গগৈ মন্ত্রিসভার জুনিয়র মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এমনকি পরিমল শুক্লবৈদ্য, কৌশিক রাইও। ছয়বারের বিধায়ক, চারবারের মন্ত্রী, ৭৩ বছর বয়সী গৌতম রায়ের ঠাঁই হচ্ছিল পেছনের চেয়ারে। বসে বসে অন্যের বক্তৃতা শোনা ছাড়া তাঁর কাজ ছিল না। খাপছাড়া লাগবে বলে কোনওদিন যাননি ইটখলার দলীয় কার্যালয়ে। আজ বৃহস্পতিবার দেখা গেল গৌতম রায়ের সেই পুরনো চলন-বলন। সকালে মেহেরপুরের বাড়ি থেকে সোজা যান সতসঙ্গ আশ্রমে। সেখান থেকে ইটখলা দলীয় কার্যালয়ে। এর আগেই কাটিগড়া থেকে গাড়ি বোঝাই দলীয় কর্মী, অনুরাগী জড়ো হয়েছেন। একই ভাবে বাকি ছয় কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। শিলচরের দীপায়ন চক্রবর্তী, উধারবন্দের মিহিরকান্তি সোম, লক্ষীপুরের কৌশিক রাই, বড়খলার অমলেন্দু দাস, ধলাইর পরিমল শুক্লবৈদ্য এবং সোনাইর আমিনুল হক লস্কর। সঙ্গে সকলের অনুরাগীরা। শোভাযাত্রা করে সবাই আসেন জেলাশাসকের কার্যালয়ে। সেখান থেকে নিজ নিজ রিটার্নিং অফিসারের কাছে গিয়ে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন।
শিলচরের প্রার্থী দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, আমি দলের নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞ, তাঁরা আমাকে যোগ্য বলে বিবেচনা করেছেন। এখন আসল কাজে নামতে হবে। তবে তিনি আশাবাদী, দেশ জুড়ে বিজেপির প্রতি মানুষের যে আস্থা, শিলচরেও এর ব্যতিক্রম হবে না।
সোনাইর প্রার্থী তথা ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর আশা করছেন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করলেও শেষপর্যন্ত দলের কথা ভেবে আশিস হালদার তা প্রত্যাহার করে নেবেন। পরে তাঁর জন্যই কাজ করবেন।
লক্ষীপুরের প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি কৌশিক রাই নিজের কথা সে ভাবে ভাবছেন না। বললেন, এ বার লক্ষ্য সাতে সাত। আর তা পূরণ হবেই।
ধলাইর প্রার্থী তথা মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য কাজের বিনিময়ে ভোট চান।একই দাবি উধারবন্দের প্রার্থী মিহিরকান্তি সোমের।জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বড়খলার প্রার্থী, নতুন মুখ অমলেন্দু দাসও।
চিফ ইলেকশন এজেন্ট নীলাভ মৃদুল মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে কাটিগড়ার প্রার্থী গৌতম রায়ের দাবি, এ বারের নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মত যোগ্য কাউকেই তিনি দেখছেন না। পাশাপাশি এ দিন অঙ্গীকার করেন, যতদিন বাঁচবেন, বিজেপির সদস্য হিসেবেই বাঁচবেন।