Barak UpdatesBreaking News
পানীয়জলের ট্যাঙ্কে বিষ, বরাতজোরে বাঁচল ৫টি গ্রামMiscreants mixes poison in PHE reservoir, 5 villages saved by luck
২৩ এপ্রিল : বরাতজোরে এক বড় ধরনের অঘটন থেকে বাঁচলেন মাছুঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। রবিবার রাতের অন্ধকারে মাছুঘাট জিপির খরিলপার জল সরবরাহ প্রকল্পে দুর্বৃত্তরা কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক মিশিয়ে দেয়। সোমবার সকালে জল সরবরাহ করার আগে এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার বিষয়টি আন্দাজ করে পানীয়জল সরবরাহ বন্ধ করে দেন। আর এভাবেই কেয়ারটেকারের বুদ্ধিমত্তার জোরে মাছুঘাট পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা পেলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্যদিনের মতো এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ খরিলপার পানীয়জল প্রকল্পের কেয়ারটেকার জল সরবরাহ করতে সেখানে যান। প্রকল্পের ভেতরে ঢুকতেই একটি ঝাঁঝালো গন্ধ তাঁর নাকে লাগে। পানীয় জল পরীক্ষা করতে তিনি ট্যাঙ্কে গিয়ে উঠেন। ঝাঁঝালো গন্ধে তিনি বুঝতে পারেন জলের সঙ্গে কিছু একটা মেশানো হয়েছে। তাছাড়া জলের রংও সাদা হয়ে গিয়েছিল। প্রকল্পের আশপাশে চোখ রাখতেই তাঁর নজরে পড়ে ৫০০ গ্রামের দুটি কীটনাশকের বোতল অর্থাৎ ট্যাঙ্কের জলে ১ লিটার পরিমাণ কীটনাশক মেশানো হয়েছে। জল সরবরাহ না করে তিনি দৌড়ে গিয়ে বিষয়টি আশপাশের বাসিন্দাদের জানান।
খুব দ্রুত এই খবর আশপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে মানুষ ছুটে আসতে থাকেন খরিলপার জল প্রকল্প চত্বরে। আসেন স্থানীয় বিধায়ক, এমনকি দলবল নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। আসাম পুলিশের কুকুরকে তদন্তে লাগানো হয়। কুকুর প্রথমে তদন্তে কিছুটা সহায়তা করলেও কিছুক্ষণ পরই আর কোনও সূত্র দিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, খরিলপার পানীয়জল প্রকল্পের অধীনে মাছুঘাট জিপির ৫টি গ্রামের প্রায় ৩০০০ মানুষ রয়েছেন। ঘটনা শুনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বড়খলার বিধায়ক কিশোর নাথ বলেছেন, সকালে তিনি টেলিফোনে খবরটি পেয়েছেন। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে দুর্বৃত্তরা এমন কাজ করলো তা বোঝা যাচ্ছে না। বিধায়ক বলেন, এই এলাকায় কয়েকটি স্কুল রয়েছে, যে স্কুলগুলোর মিড ডে মিল এই জল দিয়েই তৈরি হয়। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে তিনি আলাপ করেছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন। তাঁর কথায়, এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিধায়ক অভিযোগ করে বলেছেন, পানীয়জল প্রকল্পগুলো অনাথভাবে বেশিরভাগ এলাকায় পড়ে রয়েছে। এগুলোতে সীমানার দেওয়াল পর্যন্ত নেই। একজন নৈশপ্রহরী নিয়োগ করাও দরকার, যাতে পানীয়জল প্রকল্প চত্বরে কোনও অজ্ঞাত ব্যক্তি ঢুকতে না পারে।